Sheikh Hasina Extradition: জারি সাজা পরোয়ানা! হাসিনাকে ‘ঘরে ফেরাতে’ ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হবে ঢাকা

Bangladesh Demands Hasina: এবার এই আবহে ইন্টারপোলে দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে ইউনূস প্রশাসন। অবশ্য রবিবার সকালেই অর্থাৎ সাজা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা আগে ইন্টারপোলের একটা আভাস দিয়ে দিয়েছিলেন ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর গাজি মোনাওয়ার হুসাইন তামিম। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, 'শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন।

Sheikh Hasina Extradition: জারি সাজা পরোয়ানা! হাসিনাকে ঘরে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হবে ঢাকা
এবার ইন্টারপোল?Image Credit source: X | Getty Image

|

Nov 19, 2025 | 2:22 PM

নয়াদিল্লি: এবার ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবছে ইউনূস সরকার। আত্মপক্ষ সমর্থন না করেই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মিটেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বিচার’। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির সাজা হয়েছে তাঁর। তারপরেই প্রত্যর্পণের দাবিতে সরব হয়েছে ঢাকা। রায়দানের দিনই ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির কথা স্মরণ করিয়েছে ঢাকার বিদেশমন্ত্রক। হাসিনাকে দেশে ফেরাতে তৎপর তাঁরা। যদিও নয়াদিল্লি এখনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।

এবার এই আবহে ইন্টারপোলে দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে ইউনূস প্রশাসন। অবশ্য রবিবার সকালেই অর্থাৎ সাজা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা আগে ইন্টারপোলের একটা আভাস দিয়ে দিয়েছিলেন ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর গাজি মোনাওয়ার হুসাইন তামিম। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের কাছে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছিল প্রসিকিউশন। কিন্তু ইন্টারপোল কোনও সাড়া দেয়নি।’

তবে এবার ইউনূস সরকারের হাত শক্ত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের হাতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রয়েছে ‘কনভিকশন ওয়ারেন্ট’। অর্থাৎ পদ্মাপাড়ের দেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হয়ে উঠেছেন অপরাধী। রবিতেই প্রসিকিউটর জানিয়েছিলেন, ‘হাসিনার যদি সাজা হয়, তা হলে ইন্টারপোলের কাছে আরও একটি কনভিকশন ওয়ারেন্ট বা শাস্তিযোগ্য পরোয়ানা আবেদন করবে প্রসিকিউশন। যাতে ওনারা (ইন্টারপোল) হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করে।’

তবে এই আভাসের এবার বাস্তবায়ন হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমকে প্রসিকিউটর গাজি তামিম জানান, ‘হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে করা সাজার পরোয়ানা বিদেশমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওনারাই সেই পরোয়ানা এবার ইন্টারপোলের হাতে তুলে দেবেন।’ অর্থাৎ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরাতে আরও একটা পদক্ষেপ নিতে চলেছে ঢাকা। কোনও পথই ছাড়তে চান না তাঁরা।