
ঢাকা: চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু জামিন পেতেই ‘গা জ্বলতে’ শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। বুধবার ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি আতোয়ার রহমান খান ও আলী রেজার বেঞ্চে ছিল এই হিন্দু নেতার জামিন মামলার শুনানি। সেখানেই তাঁর আর্জি মঞ্জুর করেছে আদালত। তারপরেই ফের নিজের আসল রূপে ফিরেছে বাংলাদেশের সরকার।
বুধবার দুপুরে হাইকোর্টের রায়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ জামিন পেতেই বিকাল নাগাদ আপিল বিভাগের কাছে জামিন রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। পাশাপাশি, এই আবেদনের কোনও নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে যেন জেলেই রাখা হয়, এমন আর্জিও জানায় তারা।
উল্লেখ্য, গতবছর দেশদ্রোহিতা ও বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। পড়শি দেশের হিন্দু সন্ন্যাসীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই উঠে এসেছে হিন্দু নিধন ও সংখ্য়ালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা। আর সেই আবহেই উত্তেজনার পারদ চড়িয়েছিল চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতারি।
নানা ভাবে সরকার পক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলে ভরে রাখার চেষ্টা চালালেও, শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম নিম্ন আদালতের চিন্ময় জামিন-আর্জি খারিজ নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায় ঢাকা হাইকোর্টকে। এমনকি, কেন এতদিন ধরে তাঁকে ধরে রাখা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে ইউনূস সরকারকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। গত ১১ই ডিসেম্বর যখন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালতে পেশ করা হয়, সেই সময় তাঁর তরফে কোনও আইনজীবী না আসায় পিছিয়ে যায় শুনানি। অভিযোগ উঠেছিল, চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে একদল দুষ্কৃতী। সেই ভয়েই আদালতে আসেনি তারা। খারিজ হয়ে যায় মামলা।
গত কয়েক মাস ধরে ছলে-বলে-কৌশলেই হিন্দু নেতার জামিন রুখে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে ইউনূস সরকার, অভিযোগ একাংশের। অবশেষে চলতি বছরে যখন জামিন পেলেন তিনি, তখন আবার তাঁর বিরুদ্ধে আসরে নামল সরকার পক্ষ।