
ঢাকা: বাংলাদেশে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভাঙা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে ইউনূস সরকার। গোটা ঘটনা নিন্দা করে সরব হন নেটিজেনরা। ইতিমধ্যে ভারত সরকারও এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশ সরকারের কাছে বাড়িটি রক্ষার আহ্বান জানান। এই রক্ষণাবেক্ষণে আর্থিক সহযোগিতার কথা বলেছে নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকও।
যদিও ইতিমধ্য়েই সেই বাড়ি ভাঙা স্থগিত করেছে ইউনূস সরকার। কিন্তু তারপরেও একটা ভাগাভাগির জায়গা থেকে যাচ্ছে। আর এই ভাগাভাগি তাদের সরকারের অন্দরেই। এই বাড়ি আদতেই সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের কিনা তা নিয়ে দ্বিমত তৈরি হয়েছে সরকারের আধিকারিকদের মধ্য়েই।
বিবিসি বাংলা প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে ময়মনসিংহের হরিকিশোর রায় রোডে অবস্থিত এই বাড়ি যায় সেদেশের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রকের কাছে। তারা এই বাড়িতেই সেই সময়কালে নিজেদের অফিসের কাজ চালাতেন। তবে পরে সেই অফিস স্থানান্তর করে দেওয়া হলে, জরাজীর্ণ বাড়িটি হয়ে ওঠে ‘নিঃসঙ্গ’। সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় করে ভবনটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় এই দফতরই। যা রুখে দেয় ইউনূস সরকার। গোটা ব্যাপারটায় হস্তক্ষেপ করে সেদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক দফতরও।
এদিন বিবিসি বাংলাকে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন এটি সত্যজিৎ রয়ের পূর্বপুরুষেরই বাড়ি। কিন্তু স্থাপত্যশৈলীর দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও প্রত্নতাত্তিক স্থাপনার তালিকায় এই বাড়ি নেই।
🚨 A Nation That Forgets Its Roots Cannot Stand Tall 🇧🇩
The 200-year-old historic house of Satyajit Ray in Mymensingh city a symbol of heritage, art, and Bengali pride has been demolished in the name of restoration.
This is not preservation.
This is erasure.Under the… pic.twitter.com/L2siPHwWIM
— Abdullah Al Faisal (@fixerfaisal) July 15, 2025
অন্য দিকে বাংলাদেশের আরও একটি সংবাদমাধ্যম প্র্রথম আলোর প্রতিবেদন কিন্তু অন্য রকম কথা বলছে। ময়মনসিংহের এই বাড়ি ভেঙে ফেলার ঘটন প্রকাশ্যে আসায় সেই নিয়ে বুধবার একটি বৈঠক করেছিলেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম। সেখানেই তিনি বলেন, যে জমি বা বাড়িটি সত্যজিৎ রায় বা তাঁর পূর্বপুরুষের বলে দাবি করা হচ্ছে, সরকারি রেকর্ড ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে কোথাও তাঁদের কারওর নাম পাওয়া যায়নি।