AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পাঁচ টুকরো হয়ে পড়ে আছে প্রেমিকের লাশ, সেখানে বসেই স্বামীকে ফোন করলেন মহিলা

বৃহস্পতিবার সকালে সজীবের সঙ্গে শাহনাজের বচসা শুরু হয়। বচসার জেরে সজীব রেগে গিয়ে শাহনাজকে মারধরও করেন। তারপর ছুরি নিয়ে তেড়ে আসেন। তখন নিজেকে বাঁচাতে সজীবের থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন শাহনাজ।

পাঁচ টুকরো হয়ে পড়ে আছে প্রেমিকের লাশ, সেখানে বসেই স্বামীকে ফোন করলেন মহিলা
প্রতীকী চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Feb 13, 2021 | 2:24 PM
Share

বাংলাদেশ: নারকীয় হত্যার সাক্ষী হল ঢাকা। বৃহস্পতিবার ওয়ারীর কে এম দাস রোডের একটি বাড়ি থেকে পাঁচ টুকরো যুবকের দেহ (Dead Body) উদ্ধার করল ঢাকা পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত শাহনাজ পারভিন নাম্নী মহিলাকে ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার করে পুলিশ।

শাহনাজের পরিবার সূত্রে খবর, তিন দিন আগে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান পারভিন। কাউকে কিছু না বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। নিজের মোবাইলটিও বন্ধ করে দেন শাহনাজ। শাহনাজের খোঁজ না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, শাহনাজ একটি বুটিকে কাজ করতেন। তাঁর স্বামী ব্যবসায়ী। দুই ছেলে কর্মরত ও এক মেয়ে কলেজ পড়ুয়া। বুটিকের কাজ করতে গিয়ে পাঁচ বছর আগে সজীব নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। অচিরেই সজীবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শাহনাজ।

কাজের অজুহাত দিয়ে নিয়মিত সজীবের বাড়িতে যাতায়াত করতেন শাহনাজ। আলাদা সংসার পাততে সজীব নতুন এলাকায় বাড়ি ভাড়াও নেন। সেখানে, স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে দীর্ঘদিন সহবাসেও লিপ্ত ছিলেন তাঁরা।

শাহনাজের স্বামীর বয়ানে, বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ তাঁর কাছে ফোন আসে। ফোনে শাহনাজ জানান, তিনি সজীবের বাড়িতে অত্যন্ত বিপদের মধ্যে আছেন। তাঁকে যেন উদ্ধার করা হয়। ফোন পেয়েই শাহনাজের স্বামী পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সজীবের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, মেঝেতে সজীবের টুকরো টুকরো লাশ (Dead Body) পড়ে আছে। পাশে রক্তমাখা ছুরি হাতে বসে আছেন শাহনাজ। ঘটনাস্থল থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে চিৎকার করছিলেন প্রসূতি, এটুকুই ‘অপরাধ’, চরম ‘শাস্তি’ দিলেন চিকিৎসক

পুলিশ সূত্রে খবর, শাহনাজ তাঁর অপরাধের কথা গোপন জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, শাহনাজ নিজের স্বামীকে লুকিয়ে মাঝেমধ্যেই সজীবের বাড়ি গিয়ে থাকতেন। সোমবার তিনি পাকাপাকিভাবে সজীবের বাড়িতে থাকবেন বলে স্থির করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যান। পরিকল্পনা মাফিক সজীবের বাড়িতেও ছিলেন তিনি। কিন্তু, সেখানে গিয়ে জানতে পারেন সজীবের অন্য এক মহিলার প্রতি দূর্বলতা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: স্বামী বেরিয়ে ছিলেন সান্ধ্য ভ্রমণে, ফিরে এসে দেখলেন বউ-ছেলের অগ্নিদগ্ধ দেহ পড়ে আছে মেঝেতে

এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সজীবের সঙ্গে শাহনাজের বচসা শুরু হয়। বচসার জেরে সজীব রেগে গিয়ে শাহনাজকে মারধরও করেন। তারপর ছুরি নিয়ে তেড়ে আসেন। তখন নিজেকে বাঁচাতে সজীবের থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন শাহনাজ। ঘটনাস্থলেই সজীবের মৃত্যু হয়। মৃতদেহ (Dead Body) নিয়ে কী করবেন বুঝতে না পেরে শাহনাজ ওই ছুরি দিয়েই সজীবের দেহটি খণ্ড বিখণ্ড করেন। প্রথমে শরীর থেকে হাত-পা আলাদা করেন, তারপর বাকি দেহ পাঁচ টুকরো করে ফেলেন।

সজীবের মৃতদেহটি (Dead Body) ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে সজীবের বাড়িতেও। শাহনাজের বিরুদ্ধে খুনের মামলার অভিযোগ এনেছে সজীবের পরিবার।