
ঢাকা: বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ভাঙচুর চালাল দুষ্কৃতীরা। যার জেরে আন্তর্জাতিক স্তরে নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়ে ইউনূসের প্রশাসন। কেনই বা এই দুর্বৃত্তরাজ চলছে বাংলাদেশে? মদত দিচ্ছে কে? এই প্রশ্ন তুলেছে নানা মহল।
বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। ভারতের গর্ব, সংস্কৃতির জন্য চিন্তার বিষয়। দেশের সংবেদনশীলতায় আঘাত। এই ঘটনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের আলোচনা প্রয়োজন বলেও সেই চিঠিতে দাবি করেন মমতা।
রবি ঠাকুরের কাছারির বাড়িতে ‘দুর্বৃত্তদের রাজ’ নিয়ে তোপ দেগেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার, বিদেশমন্ত্রক তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই ধরনের ঘটনার পূর্ণ বিরোধিতা জানাই। এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শন, ভাবনা ও স্মৃতির উপর হামলা। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে জানাব, তার যেন এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা। যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’
The attack on Gurudev Rabindranath Tagore Ji’s ancestral home in Shahjadpur is a direct assault on cultural memory and civilisational continuity. Silence from Bangladesh’s interim government raises serious questions. Such actions strike at the roots of shared heritage and must be… pic.twitter.com/EXuOFJouwm
— Temjen Imna Along (@AlongImna) June 12, 2025
কিন্তু ভারতের তোপের পরেও কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে ইউনূসের প্রশাসন? মঙ্গলবার চলে ভাঙচুর। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কড়া ভারতের। কাজ শুরু ইউনূসের।
শুক্রবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসন তরফে একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কাছারির বাড়িতে হামলায় আর কারা জড়িত, সেই অনুসন্ধান চালাবে তারা।
#Bangladesh revers Nobel Laureate #RabindranathTagore, as integral to 🇧🇩linguistic & cultural #heritage. People hold Tagore in highest esteem.
🇧🇩Govt has acted promptly on an incident at the Govt-maintained property of his ancestral heritage.
Details at👇🏼 pic.twitter.com/szZ4bfwyS3— Ministry of Foreign Affairs (@BDMOFA) June 13, 2025
কিন্তু মঙ্গলে কেন ঘটে এই অমঙ্গল?
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রবি ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কাছারির বাড়িতে এই ভাঙচুরের নেপথ্যে দায় বচসা। সেখানের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সাইকেল রাখার টোকেন নিয়ে চলে বচসা। তারপর হাতাহাতি। ওই দল নিরাপত্তা রক্ষীকে মারধর করে। পরবর্তীতে চলে ভাঙচুর।