
ঢাকা: গত দু’দিনে বাংলাদেশের অন্দরে রাজনৈতিক সমীকরণে আকাশ-পাতাল সম বদল দেখা গিয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চে আহ্বায়ককে গুলির পর যা ঘটেনি, তা ঘটছে গত ২৪ ঘণ্টারও কিছু কম সময়। সেই ঘটনাক্রমের মধ্যে একেবারে শীর্ষে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার — নামক বাংলাদেশের অন্যতম দুই সংবাদপত্রের অফিসে হামলা।
সবটাই কি হাদি হত্যার বিরোধিতায়? হাসিনাপন্থী রাজনীতিকে দমিয়ে দিতে নাকি এর নেপথ্যে আসলেই রয়েছে একটা জটিল অঙ্ক! আসন্ন ফেব্রুয়ারি মাসেই বাংলদেশের জাতীয় নির্বাচন হবে বলে দিন কয়েক আগেই জানিয়েছে সেদেশের নির্বাচন কমিশন। তারপরই এই উত্তাল পরিস্থিতি। বাংলাদেশে কি কেউ বা কারা ভোট করাতে চান না? অলিখিত ক্ষমতার মোহ হারাতে ভয় পাচ্ছে একাংশ?
শুক্রবার সেই প্রশ্নই তুলে দিয়েছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। প্রথম আলো-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সারাদেশে একটা অরাজকতা তৈরি করে নির্বাচনকে বাধা দেওয়া যায় কি না, সেই রকম একটা পরিকল্পনা বা অপকৌশলের কোনও বিষয় রয়েছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার।’ অর্থাৎ, দিনভর বাংলাদেশজুড়ে যা যা ঘটেছে, নেপথ্যে আসলে ভোট না হতে দেওয়ার চক্রান্তই দেখছে বিএনপি।
এই উত্তাল পরিস্থিতিকে অন্তবর্তী সরকারের ব্যর্থতা বলেও দাগিয়েছন বিএনপি নেতা। তাঁর কথায়, ‘এই প্রসঙ্গে সরকারের সমালোচনা করা প্রয়োজন। এমন ঘটনা ঘটে গেল, এদিকে সরকারের কাছে কোনও আগাম ইঙ্গিত ছিল না? একটা ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট থাকা প্রয়োজন ছিল। এখনই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’