
ঢাকা: আবার টার্গেট ভারতীয়রা। হাদির ফেলে যাওয়া ‘স্বপ্ন’পূরণ করতে উদ্যত্ত হয়েছে বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চ। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ শাহবাগ মোড়ে ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ কর্মসূচি থেকে একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছে সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাব। এই দাবিগুলি পূরণের জন্য় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ডেডলাইনও ধরিয়ে দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের প্রধান দাবি হল হাদির ‘খুনি’ এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত প্রত্যেককে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আবদুল্লাহ আল জাবের কথায়, ‘যে বা যাঁরা হাদিকে খুন করেছে, খুনের পরিকল্পনা করেছে, সহায়তা করেছে, তাঁদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করে আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
নিজেদের চার দফা দাবিতে ভারতবিরোধিতাকেও জায়গা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। ঢাকার বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ওসমান হাদির প্রতিটি ভাষণে ঠিক যে ভাবে জায়গা পেত ভারতবিরোধিতা, একই ভাবে পেয়েছে ইনকিলাব মঞ্চের দাবির তালিকাতেও। সংগঠনের মতে, ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে দেশে কর্মরত ভারতীয়দের ওর্য়াক পারমিট বা কাজের অনুমতি বাতিল করতে হবে।’
তৃতীয় দাবিতে ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ইনকিলাব মঞ্চের আবেদন, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীরা যারা নয়াদিল্লিতে ‘আশ্রয় নিয়েছেন’, তাঁদেরকে যদি ফেরত না দেওয়া হয়, তা হলে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। পাশাপাশি, চতুর্থ দাবি হিসাবে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনার অন্দরে থাকা হাসিনা-পন্থীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে হাদির সংগঠন। এই প্রতিটি দাবি পূরণের জন্য ইউনূস সরকারকে ২৪ দিনের সময়সীমা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
উল্লেখ্য়, ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে গত শুক্রবার দুপুর থেকে শাহবাগ মোড়ে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। শনিবার রাতে এই অবস্থান-বিক্ষোভকে দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার আর্জি করেন মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। সেই মর্মেই সোমবার দুপুর দু’টো থেকে শাহবাগ-সহ বাংলাদেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্য়ালয়, স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা বিক্ষোভ দানা বাঁধার সম্ভবনা রয়েছে বলেই খবর।