Bangladesh: ব্যাঙ্কক ছেড়ে দেশে ফিরতেই জরুরি বৈঠকের ডাক ইউনূসের! কী এমন ঘটল?

Bangladesh: ট্রাম্প যে সময় এই ট্যারিফ তালিকা ঘোষণা করেছেন, সেই সময় ইউনূস ব্যস্ত ছিলেন বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে। তাই ট্রাম্পের ট্যারিফ বন্দুকে ওতটা নজর দেননি তিনি। দেশে ফিরতেই এবার সেই ট্যারিফ যুদ্ধ নিয়ে সতর্ক ইউনূস।

Bangladesh: ব্যাঙ্কক ছেড়ে দেশে ফিরতেই জরুরি বৈঠকের ডাক ইউনূসের! কী এমন ঘটল?
মহম্মদ ইউনূসImage Credit source: PTI

|

Apr 05, 2025 | 3:40 PM

ঢাকা: থাইল্যান্ড থেকে ফিরেই তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকলেন ইউনূস। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় সরকারের উপদেষ্টা, আধিকারিকদের নিয়ে বসতে চলেছেন তিনি। গত ২ তারিখ থেকেই বাংলাদেশের উপর বাড়তি কর চাপানোর কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা। শুধুই বাংলাদেশ নয়। বন্ধু হোক বা শত্রু, চোখ বন্ধ করে গোটা বিশ্বের প্রতিটা দেশের উপর শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ৯ তারিখ থেকে হবে লাগু। এই পাল্টা শুল্কের বন্দুক যেমন ট্রাম্প ধরেছেন ভারতের মাথায়, তেমনই আবার তা থেকে রেহাই পায়নি বাংলাদেশও।

হোয়াইট হাউস প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশের উপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে তারা। যা এত দিন ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ এবার আমেরিকায় বসে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি করতে গেলে দিতে হবে বাড়তি কর। ফলত মুখ ফেরাবে আমদানিকারকরা। ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভবনা বাড়বে বাংলাদেশের।

ট্রাম্প যে সময় এই ট্যারিফ তালিকা ঘোষণা করেছেন, সেই সময় ইউনূস ব্যস্ত ছিলেন বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে। তাই ট্রাম্পের ট্যারিফ বন্দুকে ওতটা নজর দেননি তিনি। দেশে ফিরতেই এবার সেই ট্যারিফ যুদ্ধ নিয়ে সতর্ক ইউনূস। শনিবার তড়িঘড়ি করে ডাকলেন বিশেষ বৈঠক। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তদারকি সরকারের সকল উপদেষ্টা, বিশেষজ্ঞ ও শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে ‘জরুরি ভিত্তিতে’ বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। আলোচনা হবে মার্কিন শুল্ক নিয়ে।

ট্রাম্পের ট্যারিফে ধাক্কা খেতে পারে বাংলাদেশ

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বস্ত্র প্রস্তুতকারী দেশ তারা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এশিয়া-সহ একাধিক মহাদেশে বাংলাদেশ বস্ত্র রফতানি করে থাকলেও, তাদের আয়ের একটা বড় অংশ নির্ভর করছে আমেরিকার উপর। প্রতি বছর প্রায় ৬ থেকে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বস্ত্র আমেরিকাকে রফতানি করে বাংলাদেশ। যা তাদের জিডিপির প্রায় ২ শতাংশের কাছাকাছি। সেই নিরিখে বলা যেতে পারে, এমন বাড়তি শুল্কের জেরে আগামী দিনে দ্বিগুণ দাম বাড়তে আমেরিকায় আসা বাংলাদেশি পোশাকপত্রের। তার ফলে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে একটা বড় অংশের মানুষ। যার জন্য চাপে পড়তে পারে পদ্মা পাড়ের অর্থনীতি।