
ঢাকা: বসানো পুলিশি ব্য়ারিকেড, রয়েছে জলকামান। মোতায়েন হয়েছে পুলিশ-সেনা। ১৫ই অগস্টের বাংলাদেশ যেন একটু অন্যরকম। এতদিন পর্যন্ত যে ধানমন্ডির বাড়িতে গিয়েই শোকজ্ঞাপন করতেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সেই ধানমন্ডির ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়ি আজ নিরাপত্তার বেষ্টনীতে। কিন্তু কেন?
কারণ সময় যে বদলেছে, কাল বদলেছে, শাসন বদলেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগস্ট বাংলাদেশে সেনার টু-ফিল্ড রেজিমেন্ট আর বেঙ্গল ল্য়ান্সারের বাহিনীর গুলিতে ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতেই মৃত্য়ু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। সেদিন মৃত্যু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র, অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূরও। কালের নিয়মে রেহাই পেয়ে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা ও রেহানা। সেই নির্মম হত্য়াকাণ্ডের এই বছর ৫০ তম বর্ষপূর্তি। স্বাভাবিক নিয়মেই সেদিন শোকপালনে হাসিনা অনুগামীরা যাবে ওই ধানমুন্ডির বাড়িতে। কিন্তু তাতে চূড়ান্ত ‘আপত্তি’ বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের।
বাংলাদেশে পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ই অগস্টকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বা তাদের কোনও ছায়া সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কোনও ভাবেই ৩২ নম্বর ধানমন্ডি এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জিসানুল হক ঢাকার সংবাদমাধ্য়মগুলিকে বলেন, “কেউ যাতে কোনও রকম নাশকতা বা উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি না করতে পারে, সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই অবস্থান।”
কিন্তু আইনী বেষ্টনী থাকলেই যে মানুষজন সেই পথ বিমুখ হয়ে উঠবেন এমনটা নয়। বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল থেকে বেশ কয়েকজন ওই এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করেছেন। যাদের আটক করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপে ফুল দিতে যাওয়া এক মহিলাকেও।