ঢাকা: সদ্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। এখনও বিয়ের গন্ধ যায়নি গা থেকে। তাঁর আগেই শেষ হয়ে গেল দুটি জীবন। মেহগনি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এই সদ্য বিবাহিত দম্পতির দেহ। বাংলাদেশের ঘটনা। তাঁদের মৃত্য়ুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের হাটবাকুয়া গ্রামে একটি মেহগনি গাছ থেকে ২০ বছরের রমজান আলি ও ১৮ বছর বয়সী মুক্তা খাতুনের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। তাঁদের শরীরে মেহেন্দি দিয়ে লেখা ছিল, ‘আমরা চলে যাচ্ছি’। বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, একই ওড়নার দুই প্রান্তে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরই তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পরই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। তাঁরা গিয়ে গাছ থেকে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করেন। আপাতত তাঁদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, একটি মোটর গ্যারেজে কাজ করতেন রমজান। সেখানে কাজ করার সময়ই মুক্তার ও তাঁর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই প্রেমের সম্পর্ক বিয়ে অবধি গড়ায়। তারপর দু’মাস আগেই দু’জনের পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে হয় তাঁদের। পরে রমজানের পরিবার মেনে নিলেও মুক্তার পরিবার তাঁদের এই বিয়ে মেনে নেয়নি। মুক্তার পরিবার তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। আর আজই তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল মুক্তার পরিবারের। কিন্তু তাঁর আগেই দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। মনে করা হচ্ছে, হয়ত রমজানের সঙ্গে বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারতেন না মুক্তা। তাই সরাসরি পরিবারের সঙ্গে কলহে না জড়িয়ে একসঙ্গে প্রাণ কেড়ে নিলেন।