ঢাকা: আরও উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। কার্ফু ঘোষণার পর এবার ‘শুট অন সাইটে’র (Shoot On Sight) নির্দেশ দেওয়া হল সেনাকে। শনিবার নতুন করে সংঘর্ষে আরও কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি বিবিসির। ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। সরকারের তরফে আগামী দুইদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অফিস-কাছারি, সবকিছুই বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোটা বিরোধী আন্দোলন থামাতে আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে শেখ হাসিনা সরকার। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শুট অন সাইটের। অর্থাৎ বিক্ষোভকারীদের দেখলেই গুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতেই কার্ফু জারি হয় বাংলাদেশে। আজ, রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কার্ফু জারি রয়েছে। তবে সরকার কার্ফুর মেয়াদ আরও বাড়াতে পারে। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করা হয়েছিল, যাতে সাধারণ মানুষ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংগ্রহ করতে পারে।
এদিকে, আজ ও আগামিকাল বাংলাদেশে ‘পাবলিক হলিডে’ ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবাতেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাকি সব পরিষেবা ও দফতর বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কার্ফুর মধ্যেও অশান্তির আঁচ কমেনি বাংলাদেশে। শনিবার আরও কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে একজন পুলিশকর্মীও রয়েছেন। এই নিয়ে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই বিভিন্ন সংবাদসংস্থার দাবি।
আজ, রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে সংরক্ষণ সংস্কার নিয়ে মামলার শুনানি রয়েছে। কোটা ফিরিয়ে আনার যে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট, তা বাতিলের আবেদন জানাতে পারে সরকার। শীর্ষ আদালত কী রায় দেয়, তার উপরেই নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভবিষ্যত।