Bangladesh Unrest: হাতের পুতুল ইউনূস, আসলে নাচাচ্ছে অন্য কেউ! টপ সিক্রেট রিপোর্ট দিল্লির হাতে

Bangladesh: কেন্দ্রের কাছে জমা পড়া টপ-সিক্রেট রিপোর্টে দাবি, বাংলাদেশে প্রশাসনের উপর এই মুহূর্তে অন্তবর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রণ শুধু খাতায় কলমে। প্রশাসনের উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে দুটি কট্টরপন্থী সংগঠন। জামাত-এ-ইসলামি ও হরকত-উল-জিহাদ।

Bangladesh Unrest: হাতের পুতুল ইউনূস, আসলে নাচাচ্ছে অন্য কেউ! টপ সিক্রেট রিপোর্ট দিল্লির হাতে
ফাইল চিত্র।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Dec 06, 2024 | 9:15 AM

নয়া দিল্লি: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের হচ্ছে। কিন্তু কয়েকটা বাদে অধিকাংশই ঘটনার পিছনেই নাকি ধর্ম নেই, আছে রাজনীতি। সংখ্যালঘুদের অনেকেই আওয়ামি লীগ সদস্য বলেই নাকি এসব ঘটনা। টিভি নাইন বাংলায় এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউতে দাবি করেছেন ওই দেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের মিডিয়া উপদেষ্টা শরিফুল আলম। প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের পুলিশ, প্রশাসনের উপর এই মুহূর্তে ইউনূস সরকারের আদৌ কোনও নিয়ন্ত্রণ আছে তো?

কেন্দ্রের কাছে জমা পড়া টপ-সিক্রেট রিপোর্টে দাবি, বাংলাদেশে প্রশাসনের উপর এই মুহূর্তে অন্তবর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রণ শুধু খাতায় কলমে। প্রশাসনের উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে দুটি কট্টরপন্থী সংগঠন। জামাত-এ-ইসলামি ও হরকত-উল-জিহাদ। এদের শাখা সংগঠন যেমন হিজাব-উত-তাহরিত, আনসার-উল-বাংলা ও জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশও নিজের নিজের এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দু-পক্ষই চাইছে এককভাবে ক্ষমতার রাশ হাতে নিতে। ফলে এলাকা দখল, সম্পত্তি, তোলাবাজি নিয়ে দু-পক্ষের চূড়ান্ত টানাপোড়েন।

গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি, এই দুই সংগঠনের লড়াইয়ের কারণেই সংখ্যালঘুদের উপর পরপর হামলা। দু-পক্ষের কাছেই সংখ্যালঘুরা সফট টার্গেট। কারণ সংখ্যাগুরুদের উপর হামলা হলে এলাকায় জনসমর্থন হারানোর আশঙ্কা। ওই টপ-সিক্রেট রিপোর্টের একটা অংশ সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তবর্তী সরকারের উপর প্রভাব বাড়ানো শুরু করে জামাত। হঠাত্‍ করেই তাঁদের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে উঠে এসেছে হরকত-উল-জিহাদ। ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো বড় বড় শহরে এলাকা দখলের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তার খেসারত দিচ্ছেন সংখ্যালঘুরা।

এখানে হরকত-ইল-জিহাদ নামটা চমকে দেওয়ার মতো। পাকিস্তানে মাটিতে তৈরি জঙ্গি সংগঠন। আল-কায়দা ও তালিবানদের ছায়া সংগঠন হিসাবে কাজ করত হরকত। হিজবুত মুজাহিদিন, লস্কর-এ-তৈবার মতো কাশ্মীরপন্থী জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও হরকতের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। সেই হরকত রাতারাতি বাংলাদেশে ডালপালা মেলে এখন ক্ষমতার রাশ হাতে নিয়ে চাইছে। একে ভয়ঙ্কর বললেও তো কম বলা হয়। দেশের ক্ষমতার রাশ যদি প্রশাসনের পরিবর্তে জঙ্গিদের হাতে চলে যায়, তার পরিণতি কী হতে পারে, তা অনুমান করা যাচ্ছে এখনই।