ঢাকা: অভাবের সংসার। কোনও মতে টেনেটুনে জীবনযাপন করতে হয়। তাই ঢাকায় গৃহকর্মীর কাজ করতে যেতে হয়েছিল ১০ বছরের শিশু চাঁদনি খানকে। কিন্তু ৯ মাস পর সে যখন ঘরে ফিরল তখন তাঁর শরীরে আঘাত দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠেছিলেন পরিবারের সকলে। কারণ শিশুটির গায়ে দগদগে ক্ষত। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভাবের সংসার চালাতে তমিজ উদ্দীন তাঁর মেয়ে চাঁদনি খাতুনকে গৃহকর্মীর কাজে পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায়। মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে বিচারের দাবি করেছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ মাস আগে এক প্রতিবেশী মাসিক ১ হাজার টাকার বিনিময়ে চাঁদনিকে ঢাকায় কাজে ঢুকিয়েছিলেন। ঢাকায় মেয়ে কাজ করতে যাওয়ার পরই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় চাঁদনির।
এখন ১০ বছরের মেয়েটি খোকসা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। সাংবাদিকদের চাঁদনি জানিয়েছে, ঢাকা যাওয়ার পর থেকেই তার উপর চরম নির্যাতন শুরু হয়। তাকে ঘর মোছা, কাপড় কাচা থেকে শুরু করে ঘরের সব কাজ করতে হত। কোনও ভুল হলেই তাকে খুন্তি দিয়ে গরম ছেঁকা দিত বলেও অভিযোগ তার। এমনকি রাতে মারধোরের পর ওড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে মেছেতে শুইয়ে রাখা হত বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ক্যারাম না খেলতে চাওয়ায় যুবককে ছুরির কোপ, কেটে গেল হাতের কনুই