Soudi Arab Bus Accident: পুড়ে চামড়া লেপ্টে গিয়েছে হাড়ের সঙ্গে, চেনা দায়! সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জনই বাংলাদেশি

Bangladesh: পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের যে ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন, তাদের মধ্যে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ১৭ জন সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, যে ৫ জনের খোঁজ মিলছে না, তাঁদের হয়তো সকলেরই মৃত্যু হয়েছে।

Soudi Arab Bus Accident: পুড়ে চামড়া লেপ্টে গিয়েছে হাড়ের সঙ্গে, চেনা দায়! সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জনই বাংলাদেশি
সৌদি আরবে হওয়া বাস দুর্ঘটনা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 29, 2023 | 1:35 PM

ঢাকা: সৌদি আরবে (Soudi Arabia) যাচ্ছিলেন উমরাহ করতে। কিন্তু মক্কা পৌঁছনো আর হল না। মাঝপথেই শেষ হয়ে গেল সবকিছু। সৌদি আরবে যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৩ জনই বাংলাদেশি (Bangladeshi)। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও ২৩ জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের আভা জেলায় সোমবার বাস দুর্ঘটনাটি ঘটে। একটি সেতুতে ওঠার সময়ে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাসটি। পাল্টি খেয়ে উল্টে যায় বাসটি। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় বাসে।

জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে মোট ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশের বাসিন্দা। সকলেই মক্কায় উমরাহ করতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৩ জন বাংলাদেশী ছিলেন। ইতিমধ্যেই তাদের পরিচয় জানা গিয়েছে। তাঁরা হলেন-

১। শহিদুল ইসলাম, পিতাঃ মোঃ শরিয়ত উল্লাহ, বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগে। ২। মামুন মিয়া, পিতাঃ আব্দুল আওয়াল, বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। ৩। মোহাম্মদ হেলাল, বাড়ি নোয়াখালীতে। ৪। সবুজ হোসাইন, বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। ৫। রাসেল মোল্লা, বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। ৬। মোঃ আসিফ, বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালীতে। ৭। মোঃ ইমাম হোসাইন রনি পিতাঃ আব্দুল লতিফ, গাজীপুরের টঙ্গীতে। ৮। রুক মিয়া পিতাঃ কালু মিয়া, বাড়ি চাঁদপুরে। ৯। সিফাত উল্লাহ, কক্সবাজারের মহেশখালীতে। ১০। গিয়াস হামিদ, বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্দারে। ১১। মোহাম্মদ নাজমুল পিতাঃ কাওসার মিয়া, বাড়ি যশোরে। ১২। রনি, পিতাঃ ইস্কান্দার, বাড়ি যশোরে। ১৩। মোহাম্মদ হোসেন, বাড়ি কক্সবাজারে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের যে ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন, তাদের মধ্যে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ১৭ জন সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, যে ৫ জনের খোঁজ মিলছে না, তাঁদের হয়তো সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দেহগুলি এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে কাউকে চেনা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, সৌদি আরবে যে বাস দুর্ঘটনা ঘটে, ওই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। বাস দুর্ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাসে অন্যান্য দেশের যে ১২ জন যাত্রী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত ২৭ মার্চ সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে একটি বাস দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। ওই বাসের সকলেই উমরাহ করতে যাচ্ছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। বাস দুর্ঘটনায় ১৩ জন বাংলাদেশি সহ মোট ২৪ জনের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দুর্ঘটনায় আহত বাংলাদেশিদের চিকিৎসার সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই জানান বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী।