ঢাকা: কোনওভাবেই রোখা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ। বারবার সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে। পাশ্চাত্য তো বটেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতেও হানা দিচ্ছে করোনা সংক্রমণ। হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। তাই বাড়তি করোনা আক্রান্তর সংখ্যায় লাগাম টানতে ৭ দিনের লকডাউনের পথে হাঁটছে হাসিনা সরকার। গোটা বাংলাদেশে (Bangladesh) করোনার করাল থাবা রুখতে ৭ দিনের জাতীয় লকডাউনের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, সংক্রমণের এই দ্রুত গতিতে রাশ টানার জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই উর্ধ্বমুখী বাংলাদেশের করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৬ হাজারের গণ্ডি। তাই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসিনা প্রশাসন। এর আগে সারা দেশে জাতীয় লকডাউনের পথে হেঁটেছিল ফ্রান্স। সে দেশে সংক্রমণের ঢেউ রুখতে তৃতীয় বার লকডাউন করতে হয়েছে। সংক্রমণের গতিতে পিছিয়ে নেই ভারতও। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ১২৯ জন।
স্রেফ মহারাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোনও রাজ্য় কিংবা কেন্দ্র এখনও দেশে লকডাউনের আভাস দেয়নি। অনেক ক্ষেত্রেই শিকেয় উঠছে করোনাবিধি, তাই দেশে টিকাকরণ ছাপিয়েই নিজের থাবা আরও চওড়া করছে করোনাভাইরাস। তাই বিভিন্ন দেশ যখন তুলনামূলক কম দৈনিক সংক্রমণেই লকডাউনের পথে হাঁটছে, তখন দেশেও লকডাউনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সব মহলে। এখন ভারতে ৪ রাজ্য ও ১ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন, সেই আবহে দেশে কি আদৌ লকডাউন হবে? না কি করোনা রুখতে অন্য কোনও পন্থা অবলম্বন করবে কেন্দ্রীয় সরকার, সে নিয়েও জোর জল্পনা ওয়াকিবহাল মহলে।
আরও পড়ুন: ফের মার্কিন ক্যাপিটলে হামলা, শোকপ্রকাশ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের