গাজিপুর: বাংলাদেশের গাজিপুরের কালিগঞ্জে অজ্ঞাত পরিচয় একটি মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শনিবার এই মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহর সাতটি টুকরো পানাজোড়া এলাকার বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। প্রাথমিকভাবে এটিকে খুনের ঘটনা মনে করছে পুলিশ।
কোনও কারণে নৃশংসভাবেই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ পূর্বাচল অ্যাপারেল লিমিটেড নামের একটি কারখানার পাশের জলাশয় থেকে মৃতদেহের একটি অংশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহের মাথা, ধর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছিল।
খবর পেয়ে এই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জলাশয় ও সংলগ্ন জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মাথা, হাত, হাঁটু, কোমর সহ দেহের অবশিষ্ট অংশগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল। ছিন্ন বিছিন্ন দেহাবশেষ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও এখনও অবধি মৃতদেহের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াসমিন সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোকে এ মৃতদেহ উদ্ধার প্রসঙ্গে বলেন, “মৃতদেহটিকে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় একজন মৃতদেহটি তাঁর পরিবারের সদস্যের বলে দাবি করেছেন। ডি এন এ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, শনাক্ত করা হবে।”
স্থানীয় নয়ন ঘোষাল নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি তাঁর খুড়তুতো ভাই সবুজ ঘোষালের। সবুজ ওই কারখানার কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ২৮ সেপ্টেম্বর কারখানা থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। নয়ন জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের মিল রয়েছে। এখন তারা ডিএনএ পরীক্ষা অবধি অপেক্ষা করবেন। পরীক্ষার ফলাফলের মৃতদেহের পরিচয় জানা যাবে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।