Bangladesh: লাশের স্তূপের নীচে দুটি প্রাণ! সন্তানকে আঁকড়ে মা, বাস দুর্ঘটনার ভয়াবহ দৃশ্য

Bangladesh Bus Accident: রবিবার (১৯ মার্চ) সকালে বাংলাদেশের মাদারীপুর উপজেলার শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে যে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে, এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হলেও আনোয়ারা বেগম এবং তাঁর শিশুর গায়ে একটা আঁচড়ও লাগেনি!

Bangladesh: লাশের স্তূপের নীচে দুটি প্রাণ! সন্তানকে আঁকড়ে মা, বাস দুর্ঘটনার ভয়াবহ দৃশ্য
এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণ গিয়েছে এই দুর্ঘটনায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 19, 2023 | 3:41 PM

ঢাকা: ইমাদ পরিবহণের অভিশপ্ত বাসটিতে চালকের পাশেই বসেছিলেন আনোয়ারা বেগম। কোলে ছিল ৭ বছরের শিশু সন্তান সাজ্জাদ। কিছু বুছে ওঠার আগেই বামদিকে টায়ার পাংচার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল বাসটি। এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে পড়ে গিয়েছিল খাদে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হলেও আনোয়ারা বেগম এবং তাঁর শিশুর গায়ে একটা আঁচড়ও লাগেনি! রবিবার (১৯ মার্চ) সকালে বাংলাদেশের মাদারীপুর উপজেলার শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে যে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাতে অলৌকিক ভাবে বেঁচে গিয়েছেন তাঁরা। আর তারপর আনোয়ারা বেগম বলেছেন, “আল্লাহ আমাদের দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন।”

এই মর্মন্তিক বাস দুঘর্টনায় এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণ গিয়েছে। কম-বেশি আহত হয়েছেন বাসে থাকা প্রায় সব যাত্রীই। ব্যতিক্রম ২৮ বছরের আনোয়ারা বেগম এবং তাঁর ৭ বছরের ছেলে সাজ্জাদ। রবিবার ভোরে বাগেরহাট থেকে ছেলেকে নিয়ে ওই অভিশপ্ত বাসটিতে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন আনোয়ারা। ঢাকায় তাঁর এক আত্মীয় অসুস্থ, তাঁকে দেখতে যাচ্ছিলেন তিনি। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ, পদ্মা সেতুতে ওঠার কিছু আগে আগেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে বাসটি খাদে পড়ে গিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে ঢাকার পথে যাচ্ছিল ইমাদ পরিবহনের বাসটি। পদ্মাসেতুর দক্ষিণ প্রান্তের কিছু আগে কুতুবপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১৪ জন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরও ৫ জন।

আনোয়ারা ও সাজ্জাদকে উদ্ধার করেছেন মাহবুব নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা বাস থেকে একের পর এক মরদেহ বের করে আনছিলেন। বেশ কিছু দেহের নীচে চাপা পড়ে ছিলেন আনোয়ারা এবং সাজ্জাদ। মাহবুব বলেন, “দেখি আনোয়ারা তাঁর সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। এরপর মা ও সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি।” এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন আনোয়ারার স্বামী শহিদুল মোল্লা। অলৌকিকভাবে স্ত্রী-সন্তান বেঁচে যাওয়ায় তিনি উচ্ছ্বসিত। শহিদুল মোল্লা বলেছেন, “বিধাতার কাছ থেকে আমার সন্তান ও স্ত্রী কে নতুন করে আবার ফিরে পেয়েছি। আল্লাহ আমাকে এতো বড় উপহার দেবে কখনও বুঝতে পারিনি। আমি আল্লার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।”