Bangladesh News: মৃত প্রেমিকার গায়ে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা, মাথা থ্যাতলানো দেহের পাশে বসেই গাঁজা খেলেন প্রেমিক…
Bangladesh News: মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে ওই মহিলাকে হত্যা করেছিলেন মাহিবুর কামাল নামের বছর বাইশের এক যুবক। মহিলার লাশে পাশে বসে গাঁজাও খেয়েছেন অভিযুক্ত যুবক।
চট্টগ্রাম: প্রেম খুবই সুন্দর অনুভূতি বলেই মনে করেন অনেকে। তবে এই প্রেমের সম্পর্ক থেকে অনেক সময় এমন নৃশংসতা জন্ম নেয়, যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হত্যা রহস্যের কথা ফাঁস করেছে ব়্যাব। ১২ মার্চ বাংলাদেশের রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বিএফআইডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত শৌচাগারের ভিতর থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধারের (Murder Case) পর মহিলার পরিচয় না জানা গেলেও পরেও জানা গিয়েছিল ওই মহিলার নাম হাসিনা আখতার। তদন্তে নেমে ব়্যাব জানতে পারে ৩০ বছর বয়সী ওই মহিলার প্রেমিকই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে ওই মহিলাকে হত্যা করেছিলেন মাহিবুর কামাল নামের বছর বাইশের এক যুবক। মহিলার লাশে পাশে বসে গাঁজাও খেয়েছেন অভিযুক্ত যুবক। সিগারেটের আগুন দিনে প্রেমিকার নিথর দেহকে ছ্যাঁকাও দিয়েছেন মাহিবুর।
শনিবারই মাহিবুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে নেমে ব়্যাব জানতে পেরেছে ওই মহিলাও মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। অভিযুক্তকে জেরার পর ব়্যাব জানিয়েছে, মাদক ব্যবসা, অবৈধ সম্পর্ক ও পারিবারিক অশান্তির কারণে এই হাসিনাকে খুন করেছে মাহিবুর। জানা গিয়েছে, আগে হাসিনার বিয়ে হয়েছিল, তিনি একটি কন্যা সন্তানকে দত্তকও নিয়েছিলেন। তবে স্বামী দীন ইসলামের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপরই ওই মহিলা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তদন্তে জানা গিয়েছে সম্প্রতি মাহিবুরের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। করাত কলের কর্মী মাহিবুর দীর্ঘদিন ধরেই মাদকাসক্ত। মাহিবুরকে বিয়ের জন্য চাপ দিতেন হাসিনা।
১১ মার্চ ঘটনাস্থলে দু’জন দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই বিয়ে নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। হঠাৎ করেই হাতে ইট তুলে নিয়ে হাসিনাকে আক্রমণ করে মাহিবুর। ওই মহিলা অজ্ঞান হয়ে গেলে, তাঁর মাথায় ১৫ বার ইট দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে দিয়েছিল যুবক। ব়্যাব জানিয়েছে, হাসিনার মৃত্যুর পর নিথর দেহের পাশে বসেই গাঁজা খেয়েছিলেন অভিযুক্ত। মৃতদেহের বিভিন্ন অংশে সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেন। শেষমেশ জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে লাশে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল মাহিবুর। অভিযুক্ত এখন ব়্যাবের হেফাজতে রয়েছে।