ঢাকা: শনিবার বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের বান্দরবান তুমব্রুতে শনিবার সকালের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ন’টা থেকে শুরু করে আধ ঘণ্টা গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বান্দরবানের নাইক্ষছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মায়ানমার সেনা বাহিনীর মর্টার হামলা একজন নিহত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। মর্টার হামলায় আরও ৮ জনের আহত হওয়া খবর পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মায়ানমার সেনা বাহিনীর পক্ষে ৫টি মর্টার ছোড়া হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধেবেলার পর থেকে মায়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গিয়েছিল। রাত ৮টা নাগাদ মায়ানমারের তরফ থেকে ছোড়া মর্টার বিস্ফোরণ হয়। মর্টার বিস্ফোরণে এর রোহিঙ্গা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতা দিল মহম্মদ। তিনিও জানিয়েছেন, মায়ানমারে শুক্রবার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে এসে পড়ে মায়ানমারে ছোড়া ৩টি মর্টার শেল। ক্যাম্পের কাছেও দুটি মর্টার বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। রোহিঙ্গা নেতা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ইকবাল নামে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ মারা গিয়েছেন। মর্টার বিস্ফোরণে এক যুবকে পা বিচ্ছিন্ন হবে বলেই জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি হঠাত এভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।