ঢাকা: সামরিক অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে চিনের কাছে বড় বাজার বাংলাদেশ। সাবমেরিন, যুদ্ধ জাহাজ থেকে শুরু করে সেই তালিকায় রয়েছে একাধিক অস্ত্র। কিন্তু সেগুলি কেনার পর থেকে ফল ভুগতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। আর সেই কারণেই সম্ভবত এবার ব্রিটেন থেকে অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত হাসিনা সরকারের। ব্রিটেন থেকে যুদ্ধ জাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশের। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, ব্রিটেন থেকে পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ কিনবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুটি বাংলাদেশে তৈরি হবে আর তিনটি যুদ্ধ জাহাজ তৈরি হবে ব্রিটেনের মাটিতেই।
ব্রিটেন থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এমনটাই তথ্য জানিয়েছেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ব্রিটেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মোনা তাসনিম। এই মুহূর্তে ব্রিটেনে রয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তাঁর এই সফর যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। তাঁর এই সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে অত্যন্ত উষ্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। মোমেন বলেন, ‘ব্রিটেনে বাংলাদেশে নেভাল ফোর্সের কিছু জাহাজ পাঠাতে চায়। এটার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে। কিন্তু মোটামুটি আমরা নীতিগতভাবে সম্মত যে পাঁচটি জাহাজ নেব। এর মধ্যে তিনটি তারা তৈরি করবে এবং দুটি আমরা করব। আমাদের জাহাজ বানানোর ডকে উন্নয়নের কাজ তারা করবে।’ নিশ্চিত ভাবে এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরে সামরিক ক্ষেত্রে ক্রমশ উন্নত করছে বাংলাদেশ। নিজেদের দেশেই সামরিক জাহাজ সহ অন্যান্য সামগ্রী বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ড. মোমেন এই সময় আরও বলেন, আগামী বছর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছরপূর্তি হবে। দুই দেশ যৌথভাবে এটি উদযাপন করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের একটি উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে যুক্তরাজ্য কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
তবে বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকবছরে চিন থেকে নৌবাহিনীর জন্য টাইপ 053H3 ফ্রিজেট কিনেছে বাংলাদেশ। বায়ুসেনার জন্য কে-৮ যুদ্ধবিমান, ট্রেনার বিমান ও সেনাবাহিনীর জন্য মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও চিন থেকে কিনেছে ঢাকা। বিগত দশকে এর জন্য প্রায় আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে হাসিনা প্রশাসন। কিন্তু সেই সমস্ত হাতিয়ারের গুণগত মান ও কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশের ফৌজ। কারণ, একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে যুদ্ধ বিমান থেকে শুরু করে যুদ্ধ জাহাজগুলিতে। সেগুলি সারিয়ে তুলতে কার্যত অনেক খরচ। সেখানে দাঁড়িয়েই কি এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকারের? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : Tanker Blast: ট্যাংকারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ৯১, হাসপাতালে ভর্তি শতাধিক