Hilsa Fish: ২৫ টাকায় বিক্রি হয় জোড়া ইলিশ! ১ টাকার নুন, ৫ টাকায় ডাল কিনতে যাবেন নাকি এই দোকানে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 30, 2023 | 1:23 PM

Bangladesh News: দোকানি মহম্মদ জুয়েল জানিয়েছেন, দক্ষিণখান এলাকা, যেখানে দোকানটি অবস্থিত ,সেখানের অধিকাংশ মানুষই গরিব। অনেকেই দিনমজুরের কাজ করেন, তাই দিনআনি-দিন খাই সংসার তাদের। ১ কেজি বা ৫০০ গ্রামের প্যাকেট কেনার মতো আর্থিক সামর্থ্য অনেকেরই থাকে না।

Hilsa Fish: ২৫ টাকায় বিক্রি হয় জোড়া ইলিশ! ১ টাকার নুন, ৫ টাকায় ডাল কিনতে যাবেন নাকি এই দোকানে?
ফাইল চিত্র

Follow Us

ঢাকা: বাজারে ইলিশ উঠলেই ক্রেতাদের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। কে আগে কিনবে, তা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। বাজারে ইলিশের দরই শুরু হয় হাজার টাকা থেকে। বড় ইলিশ হলে সেই দাম ৪-৫ হাজারেও পৌঁছয়। কিন্তু যদি বলা হয় ২৫ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তাও আবার একটা নয়, দুটো ইলিশ মিলবে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, এটা কিন্তু সম্পূর্ণ সত্যি। জলের দরেই বিকোচ্ছে রুপোলি শস্য। শর্ত শুধু একটাই, যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই নিতে হবে। শুধু ইলিশ মাছ নয়, রুই থেকে তেলাপিয়া, চাল-ডাল-চিনি যাবতীয় কিছুই পাওয়া যাবে জলের দরে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের এক দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই সমস্ত জিনিস।

বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢাকার দক্ষিণখানে একটি মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায় একজোড়া ইলিশ মাছ। ওই দোকানে ৫ টাকাতে পাওয়া যায় শুঁটকি মাছ, ১৫ টাকায় তেলাপিয়া মাছ, ৪০ টাকায় পাওয়া যায় রুই মাছ। শুধু মাছ নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি সামগ্রীও অত্যন্ত কম দামে পাওয়া যায়। ১ টাকায় মুড়ি, ৩ টাকায় চা পাতা, ২ টাকায় চিনি, ৫ টাকায় ডাল, ১ টাকায় লবণ পাওয়া যায়। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির সময়ে কীভাবে এত কম দামে বিক্রি হচ্ছে জিনিসপত্র।

দোকানি মহম্মদ জুয়েল জানিয়েছেন, দক্ষিণখান এলাকা, যেখানে দোকানটি অবস্থিত ,সেখানের অধিকাংশ মানুষই গরিব। অনেকেই দিনমজুরের কাজ করেন, তাই দিনআনি-দিন খাই সংসার তাদের। ১ কেজি বা ৫০০ গ্রামের প্যাকেট কেনার মতো আর্থিক সামর্থ্য অনেকেরই থাকে না। সেই কারণে তিনি নিজেই ছোট ছোট প্যাকেটে করে মশলাপাতি বিক্রি করেন। মাছও বিক্রি করেন অত্যন্ত কম দামে বিক্রি করেন। ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে এই দোকানের জনপ্রিয়তাও রয়েছে ছোট্ট প্য়াকেটে প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি হওয়ার জন্য।

দোকানের নাম পাটোয়ারী স্টোর। তবে দোকানে সেই নামের উল্লেখ নেই। তার বদলে উল্লেখ করা থাকে কোন জিনিস কী দামে বিক্রি হচ্ছে। সব প্যাকেটেই উল্লেখ করা রয়েছে একটা বাক্য, আপনার যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই কিনুন। দোকানী মহম্মদ জুয়েল জানান, অনেক সময়ই খাদ্যপণ্যের দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। তখন গরিব মানুষের পক্ষে তা কেনা সম্ভব হয় না। অনেক দোকানিও ২৫০ গ্রামের নীচে কোনও মশলা বা সবজি বিক্রি করতে রাজি হন না। তাই বলে কি গরিব মানুষ খাবার খাবে না? এই সমস্যা দূর করতেই ন্যূনতম দামে অল্প পরিমাণ জিনিস বিক্রি করেন মহম্মদ জুয়েল।

Next Article