ঢাকা: মহানবমীতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সোমবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে কিশোরগঞ্জে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে। মালগাড়ির সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১৮ জনের। আহত হন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ জন। সারা রাত উদ্ধারকাজ চলার পর আজ, মঙ্গলবার রেললাইন থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। গতকালই বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল না মানার কারণেই কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এবার সামনে এল দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তের ভিডিয়ো সামনে এল।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ট্রেনটি লাইন ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। ট্রেনের ছাদে বসে রয়েছেন কয়েকজন যাত্রী। ঠিক সেই সময়ই উল্টোদিক থেকে আসছে মালগাড়ি। পাশাপাশিই দুটি লাইন। যখন ট্রেনটি এক লাইন থেকে অন্য লাইনে চেঞ্জ করছিল, সেই সময়ই উল্টোদিক থেকে ওই লাইনে আসছিল মালগাড়ি। যাত্রীবাহী ট্রেনটির লাইন বদল করা শেষ হয়নি, ততক্ষণে পৌঁছে যায় মালগাড়িটি। এরপরই ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে মালগাড়িটি। সঙ্গে সঙ্গে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনের শেষ প্রান্তের কয়েকটি কামরা।
গতকালই বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফে জানানো হয়, মালগাড়িটি সিগন্যাল না মানায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উল্টে যাওয়া ট্রেনের বগির নিচে অনেক যাত্রী চাপা পড়ে গিয়েছেন। রেললাইনের ওপরও মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দুর্ঘটনার পরই ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীসহ বাংলাদেশের পূর্বঞ্চলীয় রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ দিন সকালে উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর আপ-ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।