Bangladesh: লুকোচুরি খেলতে গিয়ে ৩৭০০ কিমি ‘পাড়ি’ বাঙালি কিশোরের, কীভাবে মাঝের ৬ দিন কাটল সেটাই রহস্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jan 27, 2023 | 9:48 PM

Bangladeshi boy ends up in Malaysia: বন্ধুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল ১৫ বছরের কিশোরটি। লুকিয়েছিল একটি কন্টেইনারে। বের হল যখন, তখন সে পৌঁছে গিয়েছে ৩৭০০ কিলোমিটার দূরের অন্য এক দেশে।

Bangladesh: লুকোচুরি খেলতে গিয়ে ৩৭০০ কিমি পাড়ি বাঙালি কিশোরের, কীভাবে মাঝের ৬ দিন কাটল সেটাই রহস্য
প্রতীকী ছবি

Follow Us

ঢাকা / কুয়ালালামপুর: বন্ধুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল ১৫ বছরের কিশোরটি। লুকিয়েছিল একটি কন্টেইনারে। চোখ লেগে এসেছিল তার। ঘুম ভাঙার পর আর সেই কন্টেইনারটি থেকে বের হতে পারেনি সে। বের হতে পারল যখন, তখন সে পৌঁছে গিয়েছে ৩৭০০ কিলোমিটার দূরের অন্য এক দেশে। শুনে মনে হতে পারে কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য। কিন্তু না, এটা কোনও সিনেমা নয়। একেবারে বাস্তব ঘটনা। ঘটেছে এক বাংলাদেশী কিশোরের সঙ্গে। যে কন্টেইনারে সে লুকিয়েছিল, সেটিকে জাহাজে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল মালয়েশিয়ায়। গত ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশি জাহাজ থেকে কন্টেইনারগুলি নামানোর সময় কিশোরটিকে পেয়েছিলেন মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দরের কর্মীরা। আপাতত তাকে এক স্থানীয় হাসাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্থ হলে বাংলাদেশে পাঠানো হবে।

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত ১১ জানুয়ারি। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে তার বন্ধুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল ১৫ বছরের কিশোর ফাহিম। বন্দরে রাখা একটি শিপিং কন্টেইনারে লুকিয়েছিল সে। দুর্ঘটনাক্রমে কন্টেইনারের দরজাটি তালাবন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কন্টেইনার থেকে না বের হতে পেরে একসময় সে তার ভিতরেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। এরপর কন্টেইনারটি মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বাংলাদেশি বাণিজ্যিক জাহাজে তোলা হয়। জাহাজটি ১৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দরে পৌঁছয়।


কন্টেইনারটি থেকে মাল নামানোর সময় বেরিয়ে আসে ফাহিম। তাকে দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বন্দর কর্মীরা। সে স্থানীয় ভাষা বলতে বা বুঝতে পারছিল না। তাই তার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি বন্দরকর্মীরা। তারা সন্দেহ করেন, কোনও মানব পাচারকারী চক্র তাকে ওই কন্টেইনারে করে পাচার করার চেষ্টা করেছে। অবিলম্বে তারা মালয়েশীয় পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ এসে তাকে জেরা করে জনতে পারে, এই ক্ষেত্রে কোনও মানব পাচার বা অন্য কোনও অপরাধ জড়িত নয়। কিশোর ছেলেটি নিজের ভুলেই কন্টেইনারে আটকে পড়েছিল। তারপর থেকে ৬ দিন ধরে তার ভিতরেই আটকে ছিল সে। ভিতর থেকে সাহায্যের জন্য সে অনেক চিৎকার করেছিল, কিন্তু বাইরে থেকে কেউ তার গলার আওয়াজ শুনতে পায়নি। কীভাবে খাদ্য বা জল ছাড়া ৬ দিন বেঁচে ছিল, তা এখনও সকলের কাছে রহস্য। পরে তাকে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ডিহাইড্রেশনে ভুগছে সে। তাকে দেশে ফেরানোর জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ।

Next Article