চট্টগ্রাম: বাংলাদেশে সারাবছরই শাসক আওয়ামী লিগ ও বিরোধী বিএনপির মধ্যে নানা ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপান উতর চলতেই থাকে। নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কোনও আলোচনায় যেতে তারা রাজি নয়, আগেই জানিয়েছিল বিএনপি। বিরোধী দলের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই কটাক্ষ উড়ে এল শাসক আওয়ামী লিগের তরফে। বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, “বিএনপির না রোগ হয়েছে।”
আজ বিকেলে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসান মাহমুদ। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে বিজেপির মধ্যে ‘না’ রোগ দেখা দিয়েছে। যেকোনও কিছুতেই তারা নেতিবাচক কথা বলতেই অভ্যস্ত। কথাবার্তা বলব না, নির্বাচনে অংশগ্রহন করব না, এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও ‘না’ বলেছেন তারা। এই ‘না’ ‘না’ বলতে বলতে বিএনপি দলটাই যেন ‘নেই’ হয়ে না যায়।”
মন্ত্রী হাসান মাহমুদ আরও বলেন, “আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী মনে করতাম। কিন্তু তিনি দলের অনুগত হতে গিয়ে ক্রমশই বুদ্ধিহীন হয়ে পড়েছেন এবং স্বাভাবিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে, সেটি পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ। বর্তমানে বাংলাদেশ সব কিছুতেই পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে। ১৯৭০-৭১ সালে পাকিস্তান মাথাপিছু আয়ে আমাদের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ এগিয়ে ছিল। প্রায় সব ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। সেই পাকিস্তান আজ পিছিয়ে গেছে। মানব উন্নয়ন সূচক, সামাজিক সূচক, মাথাপিছু আয়ে এমনকি আমরা ভারতের চেয়ে এগিয়ে গেছি। আগে শতকরা ৪১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। সেটি এখন ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।”
বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আরও বলেন, ” বিগত কয়েকবছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। বিশেষত জননেত্রী তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অনেক এগিয়ে গিয়েছে। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে যখন হত্যা করা হয়েছিল, তখন বাংলাদেশের বৃদ্ধি ছিল ৯.৪৫। সেখানে বাংলাদেশের অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে।” মন্ত্রী আরও বলেন, “বাংলাদেশে, জামাত, বিএনপির মত দল না থাকলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেত। এই দলগুলি নেতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারা দেশবিরোধীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। ফখরুল ইসলামের কাছে আমার অনুরোধ শিক্ষিত লোক হয়ে তিনি অশিক্ষিতের মত কথা বলা বন্ধ করুন। ”