ঢাকা : ফের সংখ্যালঘু হত্যার ঘটনা ঘটল বাংলাদেশে (Bangladesh)। এই ঘটনা ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। খাগড়াছড়ির গুগড়াছড়ি ধর্মসুখ বৌদ্ধ মন্দির থেকে মিলল এক প্রবীণের মৃতদেহ। মৃতের নাম ভিক্ষু বিশুদ্ধা মহাথেরোর। তাঁর বয়স ৫২ বছর। গ্রামবাসীরা বৌদ্ধ মন্দির থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার সকালে গুগড়াছড়ি পাইমং মেম্বারপাড়া থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে ওই মন্দির থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল খাগড়াছড়ি সদর থানার পুলিশ। দ্য় ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদন সূত্রে, খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বলেছেন যে, তাঁরা বৌদ্ধ ভিক্ষুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, কী কারণে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে খুন করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছেন তা নিশ্চিত করেছেন। জানা গিয়েছে, বৌদ্ধ ভিক্ষুর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন ভিক্ষুর মৃতদেহ দেখতে পান। সকাল প্রায় সাড়ে ৭ টা নাগাদ ভিক্ষু বিশুদ্ধা মহাথেরোকে মৃত অবস্থায় মন্দিরের ভিতরে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দা অং ক্রয় মারমা। তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি প্রথমে দেখতে পান যে কিয়াংয়ের (মন্দির) দরজা খোলা। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মন্দির চত্বর। সেখানে রক্তে ভাসছিল ভান্তের নিথর দেহ। বিশুদ্ধাকে খাবার দিতে গিয়েছিল অং। এলাকার আরেক ভিক্ষু জানিয়েছেন, বিশুদ্ধা গত প্রায় ৩০ বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন মন্দিরে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করছিলেন। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ জানিয়েছেন,সব বিষয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। তারা বৌদ্ধ ভিক্ষুর খুনের তদন্ত ইমিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, বৌদ্ধ ভিক্ষুর মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। এবং মন্দিরের দুটো আলমারিও খোলা পেয়েছেন তাঁরা।
মন্দিরের দুটি আলমারি খোলা পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, রবিবার রাতে কেউ ডাকাতির উদ্দেশেই বৌদ্ধ বিহারে ঢুকেছিল। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বৌদ্ধ ভিক্ষুকের ছোটো ভাই কাউচিং মারমা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দাদার কাছে তেমন কোনও টাকা পয়সা ছিল না। শুধুমাত্র দুটি মোবাইল ছিল। সেই মোবাইল দুটি পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন : Canadian PM: পরিবার সমেত গা ঢাকা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন : Ukraine crisis: রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ‘শান্তিপূর্ণ’ সমাধান চায় নয়া দিল্লি