ঢাকা: নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া! বাসে এক মহিলাকে একাকী পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চালক, হেল্পার ও সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। কিন্তু, ওই মহিলা প্রাণপণ শক্তি দিয়ে আত্মসম্মান বাঁচাতে চাইলে তাঁকে চলন্ত বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ (Dhaka-Maymansingha) জাতীয় সড়কে। যদিও বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই মহিলা। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত বাসচালক নাম মহম্মদ রকিব, হেল্পার মহম্মদ আরিফ ও সুপারভাইজার আনন্দ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজনেরই বয়স ২০ বছর থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। শুক্রবার রাতে এরা ঢাকা-ময়মনসিংহ জাতীয় সড়কে চলন্ত বাসে এক মহিলা যাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং ব্যর্থ হওয়ায় রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। শনিবার সকালেই অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মহম্মদ কামাল হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় পোশাককর্মী ওই মহিলা শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ গাজিপুরে কর্মস্থল থেকে একটি মিনিবাসে ওঠেন। ময়মনসিংহের ভালুকায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। ভালুকার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের মাস্টারবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে বাসটি পৌঁছলে সমস্ত যাত্রী নেমে যায়। কেবল ওই মহিলা বাসে একা ছিলেন। তখন মহম্মদ রকিব চালকের আসনে হেল্পার আরিফকে বসিয়ে ওই মহিলার সিটের পাশে এসে বসে। তারপর চলন্ত বাসেই রকিব ও আনন্দ দাস নামে আর একজন ওই মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ওই মহিলা প্রাণপণে বাধা দিলে রকিব ও আনন্দ দাস মিলে তাঁকে চলন্ত বাস থেকে ছুড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ জাতীয় সড়কে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ।
এরপর টহল দেওয়ার সময় ওই মহিলাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ। তারপর পুলিশই ওই মহিলাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তারপর ওই মহিলার বয়ানের ভিত্তিতেই এদিন সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।