Cyclone Mokha in Bangladesh: রবিতেই কক্সবাজারে আছড়ে পড়তে চলেছে মোখা, সরানো হল ১০ লাখ মানুষকে
Cyclone Mokha in Bangladesh: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছে মোখা।
ঢাকা: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস (Weather Department Forecast) বলছে রবিবার দুপুরে কক্সবাজারের দক্ষিণে মায়ানমারের সিতওয়ে উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোখা (Cyclone Mokha)। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ১৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। শুক্রবার রাতের মধ্যেই চরম তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে মোখা। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্কে আশ্রযয়ের সন্ধানে ছুটছে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। ইতিমধ্যে ১০ লাখ বাংলাদেশের সাগর উপকূলীয় মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, রামু ও কক্সবাজার সদর উপজেলাতে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। বহু মানুষকে ইতিমধ্যেই সেখানে সরিয়ে আনা হয়েছে।
দুর্যোগের প্রস্তুতির বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান জানান, দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির (সিপিপি) ৮ হাজার ৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রোভার স্কাউট সদস্য, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও অন্তত দেড় হাজার সদস্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কাজ করছে। তৎপর রয়েছে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের রেসকিউ টিম। রেসকিউ বোট, মেডিকেল টিম ও কমান্ডো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছে মোখা। মোখার প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা ফেনি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চলে ৫ থেকে ৭ ফুট জলচ্ছ্বাস দেখতে পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার সকালে আগারগাঁও আবহাওয়া দফতরের কর্তা আসাদুর রহমান জানাচ্ছেন মোখার প্রভাবে দেশে মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব মুক্ত হতে রবিবার রাত পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে বাংলাদেশের একপাশ দিয়ে যাবে এটা। তাই ক্ষতির সম্ভাবনা কম। রবfবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। এ সময় ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে।”