যশোর: মেয়েদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মন ছটফট করতো ছেলেটার। কোনও মেয়ের নম্বর পেলেই ফোন করতেন। এ ভাবেই এদিন ফোন করেছিলেন এক অচেনা নম্বরে। সেই নম্বর ছিল অচেনা এক তরুণীর। অচেনা নম্বরের সঙ্গেই চলতে থাকে কথা। ধীরে ধীরে জমে ওঠে আলাপ। তার পর প্রেম করার শুরু করেন দুজনে। বেশ কয়েক মাস এ ভাবেই চলছিল। প্রেম একটু জমে উঠতেই দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। সেই মতো তাঁরা এসেছিলেন শহরে। সেখানে দেখা করে একটি হোটেলে একান্ত সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সেই মতো হোটেল ভাড়া করেন। এবং দুজনে দিয়ে ওঠেন সেখানে। হোটেলে নিয়ে গিয়ে যুবতীর জন্য শিঙাড়া কিনে এনেছিলেন ওই যুবক। তা খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবতী। এর পরই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কেন ওই যুবতীর মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ওই যুবককেও।
বাংলাদেশের যশোরের শার্শা উপজেলার টেংলারি গ্রামের বাসিন্দা শ্রাবন্তী। ওই জেলারই বাড়িয়ালি গ্রামে থাকেন মুন্না। ১৮ বছরের শ্রাবন্তীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয় মু্ন্নার। রং নম্বরে ফোন থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের মধ্যে। প্রেম গভীর হতেই একে অপরের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। একটি হোটেলে গিয়ে নিভৃতে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করেন তাঁরা। সেই মতো ২৩ জানুয়ারি, সোমবার ছুটিবাজারের জামতলা মোড়ের একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন। ওই এলাকা থেকেই শ্রাবন্তীর জন্য শিঙাড়া কিনেছিলেন মুন্না। হোটেলের ঘরে বসে তা খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রাবন্তী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান মু্ন্না। কিন্তু তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার সুমন ভক্ত জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যুবতীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুন্নাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার।