Ferry Services: ফেরিতে ১১ দিন পণ্য ও মোটরবাইক পরিবহণ নিষিদ্ধ, জারি নির্দেশিকা

ইদ উপলক্ষে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।

Ferry Services: ফেরিতে ১১ দিন পণ্য ও মোটরবাইক পরিবহণ নিষিদ্ধ, জারি নির্দেশিকা
প্রতীকী ছবি।

| Edited By: Sukla Bhattacharjee

Apr 14, 2023 | 3:07 PM

ঢাকা: ইদ আসন্ন। এর মধ্যে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে তৎপর হাসিনা সরকার। তাই যাত্রীবাহী নৌযানে পণ্য ও মোটরবাইক পরিবহণ নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। রাজধানী ঢাকার সদরঘাটের সমস্ত নৌ-যানে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে দেশের অন্যান্য নদীবন্দর থেকে সদরঘাটে আগত নৌযানেও পণ্য ও মোটরবাইক পরিবহণ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। ইদ, ইদের আগে পাঁচদিন ও পরের পাঁচদিন মিলিয়ে মোট ১১ দিনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার নৌ-পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ইদ উপলক্ষে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।

এদিন বাংলাদেশ নৌ-পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে আয়োজিত সভায় এক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, ইদের আগের পাঁচদিন অর্থাৎ আগামী বুধবার থেকে পরের মঙ্গলবার পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। রাতে সব ধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। আগামী ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দিন-রাত সার্বক্ষণিক সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া লঞ্চে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েনের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। নৌ-পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়, লঞ্চে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি রাখতে হবে এবং সেগুলো যাত্রীদের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে। প্রত্যেক লঞ্চে প্রশস্ত সিঁড়ি এবং সিঁড়ির দুই পাশে মজবুত রেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের ব্যাপারেও কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। লঞ্চ ও ফেরির সব কর্মীদের নির্ধারিত পোশাক পরতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, ইদ উপলক্ষ্যে নৌযানগুলিতে যাত্রীদের ভিড় বেশি হয়। সেই সুযোগে লঞ্চ বা ফেরিতে যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া যেন আদায় করা না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য নৌপরিবহন অধিদফতরের নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে বলেও নৌ-পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, যাত্রীদের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হচ্ছে। যে কোনও জরুরি প্রয়োজনে ও সেবাসংক্রান্ত বিষয়ে নৌ-যাত্রীরা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)-এর হটলাইন নম্বরে (১৬১১৩) যোগাযোগ করতে পারবেন।