ঢাকা: নাবালিকার বিয়ে নিয়ে সরকারের পক্ষে বারবার সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হলেও আমাদের সমাজে এমন বেশ কিছু মানুষ আছে যারা সেসব পাত্তা দেয় না। বাংলাদেশে সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করতে গিয়ে বড়সড় বিপত্তিতে পড়লেন এক ব্যক্তি। নাবালিকাকে বিয়ে করার চেষ্টার অপরাধে তাঁকে ৭ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম। আদালতের নির্দেশ সামনে আসার পর তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছে বলেই খবর।
রবিবার রাতে বাংলাদেশের মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার একটি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। ২৬ বছর বয়সী শহিদুল ইসলাম বরাটিয়া ইউনিয়নের মোহালি গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, ১৩ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে শহীদের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবার রাতে ওই নাবালিকার বাড়িতে বিয়ের তোড়জোড় চলছিল। এরপর এই ঘটে বিপত্তি। নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে ইউএনও হামিদুর রহমান এবং পুলিশ নাবালিকার বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়। পুলিশ আসার ঘটনা জানাজানি হতে পাত্রপক্ষ ও কাজি বিয়ের আসর থেকে চম্পট দিয়েছিল। কিন্তু বর আর পালাতে পারেনি। সেই সময় শহিদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর নাবালিকাকে বিয়ে করার চেষ্টার অপরাধে শহিদুলকে ভ্রামমাণ আদালতের কাছে পেশ করা হয়েছিল। আদালত তাঁকে সাত মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এমনকী আদালতের তরফে নাবালিকার বাবাকে দিয়ে মুচলেকা সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে যে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া অবধি কোনওভাবেই তিনি তাঁর বিয়ে দেবেন না। এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে অভিযুক্ত শহিদুল এখন কারাবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।