Bangladesh News: ‘১ হাজার টাকা দে’, প্রতিনিয়ত তোলাবাজি, পুলিশ কনস্টেবলকে সবক শেখাল জনতা
Bangladesh Police: স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা গিয়েছে, পুলিশ পরিচয় দিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির থেকে ১ হাজার টাকা দাবি করেন অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল।
ফরিদপুর: বাংলাদেশের ফরিদপুরে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গণপিটুনির খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ফরিদপুরের ভাঙা পুলিশ পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করায় ওই মহম্মদ শিমুল পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাঁকে স্থানীয় থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ভাঙা ইন্টারসেকশনের ফ্লাইওভারে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও পুলিশের দাবি, রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের সদস্য ওই পুলিশ কনস্টেবল স্থানীয় দুই তরুণ-তরুণীকে অশালীন অবস্থায় দেখে ফেলার পর তাদের ভর্ৎসনা করেন, তাতে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারধর করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা গিয়েছে, পুলিশ পরিচয় দিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির থেকে ১ হাজার টাকা দাবি করেন অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল। অমিত নামে ওই ব্যক্তির কাছে ঠিকানা জেনে টাকা চাওয়া হয়েছিল। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে একের পর এক চড় মারেন শিমুল। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে জমায়েত হয় এবং ওই পুলিশকর্মীকে বেধড়ক মারধর করে।
স্থানীয় এক ভ্যান চালকের দাবি, ভ্যান নিয়ে মুনসুরাবাদ এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দেখেন ওই পুলিশ কনস্টেবল রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অটো থেকেও টাকা আদায় করছেন। শিমুলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী। তার দাবি, ৬-৭ মাস আগে পুলিশের পোশাক পরেই শিমুল ও তাঁর এক সহযোগী তাঁর মোবাইল ওই মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়।
অন্যদিকে শিমুল দাবি করেছেন, তাঁর শ্বশুরবাড়ি ভাঙা এলাকায়। সেখান থেকে ফেরার পথে কিছু মানুষের সঙ্গে তাঁর ভুল বোঝাবুঝি হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় তোলাবাজি চালানে ওই পুলিশ কনস্টেবল। ভাঙা থানার এসআই জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।