ঢাকা : শৌচাগারের কমোডের পাইপ ভেঙে উদ্ধার করা হল এক সদ্যোজাতকে। বাংলাদেশের বরিশালের ঘটনা। বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজেই এই ঘটনা ঘটে। প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে শৌচাগারে গিয়েছিলেন প্রসূতি। সেখানেই সন্তান প্রসব হয়। সেখানেই কমোডের পাইপে আটকে যায় সদ্যোজাত। কান্নার আওয়াজ পেয়ে দমকল কর্মীদের অপেক্ষা না করে সদ্যোজাতের বাবা নিজেই উদ্ধার করলেন সন্তানকে।
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার গণমান শেখপাড়া এলাকায় থাকেন নেয়ামত উল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী শিল্পী বেগম। অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন শিল্পী বেগম। তাঁর প্রসবে কিছু জটিলতা থাকায় তাঁকে স্বরূপকাঠি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দেয়। ফলে তাঁকে শনিবার সকালে বরিশালের শের-ই-বামলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে হাসপাতালের চিকিৎসকরা গতকাল রাতেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্য়ে শৌচাগারে গিয়েছিলেন শিল্পী বেগম। সেখানেই তিনি সন্তান প্রসব করেন।
পরিবারের তরফে জানানো হয়, তাঁর প্রসব যন্ত্রণা এতটাই ছিল যে তিনি টের পাননি তাঁর সন্তান প্রসব হয়েছে। শৌচাগারের কমোডের মধ্যেই আটকে পড়ে নবজাতক। সেইসময় অস্ত্রোপচারের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে হাসপাতালের বাইরে গিয়েছিলেন শিল্পীর স্বামী। এসে শৌচালয়ের সামনে অনেক ভিড় দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন তিনি। কমোডের ভিতর হাত ঢুকিয়েও কিছু নিজের সদ্যোজাত মেয়েকে পান না। কিন্তু কানে আসছিল মেয়ের কান্নার আওয়াজ। হাসপাতাল থেকে দমকল পরিষেবায় খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের আসার অপেক্ষা না করে তিনি নিজেই কমোডের পাইপ ভেঙে দেন। নিজের সন্তানকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন বাবা। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, বর্তমানে মা ও সন্তান দু’জনেই সুস্থ আছেন। সদ্যোজাতক শিশুদের বিশেষ সেবা ইউনিটে চিকিৎসাধীন। মাকে প্রসূতি ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছে।