ঢাকা: বেশ কিছু দিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh News) রাজধানী ঢাকার (Dhaka) সাভার এলাকার বাসিন্দা এক কলেজ পড়ুয়া। শনিবার সন্ধ্যায় বনগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম কোটাপাড়া এলাকা থেকে ১৮ বছর বয়সী কলেজ পড়ুয়া সাকিব আল মামুনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তরুণ আমিনবাজার এলাকার মফিদ-ই-আম স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পরিবার সূত্র জানা গিয়েছে, ওই ছাত্র ১৭ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ছেল নিখোঁজ থাকায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন মামুনের পরিবারের সদস্যরা। ওই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এক মারাত্মক তথ্য উঠে এসেছে। পরিবারের দাবি, মামুন নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকরা দাবি করা হয়েছিল।
পরিবারের দাবি, নিখোঁজের পর মামুনের তাঁর দাদাকে ফেসবুকে মেসেজ করে জানিয়েছিল যে সে বিয়ে করেছে এবং সেই এখন স্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে শনিবার সকালেই মামুনে বাড়ির নিকটবর্তী এক পরিত্যাক্ত সেপটিক ট্যাঙ্কের সামনে পচা গন্ধ পান সেখানেই কর্মরত বেশ কয়েকজন শ্রমিক। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে একটি পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে মামুনের পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়। মৃতদেহের পরনে থাকা পোশাক দেশে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মামুন বলে শনাক্ত করে।
মামুনের দাদা রাকিব হোসেন প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, “১৭ মার্চ থেকে আমার ভাই নিখোঁজ ছিল। তাঁর বেশ কয়েকজন বন্ধু আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল সে চলে গিয়েছে। হঠাৎ করে মামুনের ফেসবুক থেকে আমার কাছে মেসেজ আসে ‘বিয়ে করেছি, আমি বউ নিয়ে আসছি।’ আমার মনে হয় ওর বন্ধুরাই ওকে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” পুলিশ জানিয়েছে মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।