
ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল সেদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতবছর কোটা সংরক্ষণ বিরোধী গণআন্দোলনে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’-র অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে। হাসিনার পাশাপাশি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে। তাঁদের আগামী ১৬ জুুন ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির করাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের জুলাই থেকে কোটা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন ক্রমশ তীব্র হয়েছিল বাংলাদেশে। অগস্টের ৫ তারিখে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও পুনর্গঠন করা হয়। তারপরই দায়ের হয় একাধিক মামলা। গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালে তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছিল। রবিবার থেকে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হল। এই মামলায় পুলিশের তৎকালীন আইডিজি চৌধুরি আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক বলে জানিয়েছে সেদেশের সরকার।
এদিন বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরি।
আগামি ১৬ জুন হাসিনা-সহ তিনজনকেই ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশকে হাতিয়ার করে কি হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন ইউনূস? এই নিয়ে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।