কাবুল: ফের জঙ্গিদের নিশানায় পুলিশ! এবার তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে থানা চত্বরেই ঘটল আত্মঘাতী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশে। এই গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে এক পুলিশ আধিকারিকও রয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। এই গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ পিছনে কে বা কারা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু করেছে আফগান পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদাখশান প্রদেশের ফৈজাবাদ শহরে তালিবান থানা চত্বরের মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে জোরাল বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় বাদাখশান প্রদেশের তালিবান পুলিশের প্রধান আব্দুল হক ওমর সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
বাদাখশান প্রদেশের পুলিশ প্রধান আব্দুল হক ওমরlast in afকে নিশানা করেই এদিন গাড়ি বোমা বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে পুলিশ কম্যান্ডার ছাড়া এদিনের গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। কারা এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটাল, এর কারণ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল নাফি টাকোর বলেন, “এদিনের গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের এই হামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
যদিও এদিনের গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ এবং পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যুর পিছনে তালিবানেরই হাত রয়েছে বলে দাবি বাদাখশানের তালিবান-বিরোধী জঙ্গি সংগঠন, NRF (ন্যাশনাল রেজিসটেন্স ফ্রন্ট অফ আফগানিস্তান)-এর মুখপাত্রের। তাঁর মতে, তালিবানদের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই এই হামলাটি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালেই একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পাকিস্তানের (Pakistan) বালোচিস্তান শহরে (Balochistan Blast)। পরপর বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে এবং গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন পাকিস্তানি নাগরিক। সারা দেশে যে জঙ্গি দমন অভিযান চলছে তার প্রত্যাঘাত হিসাবেই এই হামলা বলে পাক সেনার দাবি। যদিও কোন জঙ্গি সংগঠন হামলাটি চালিয়েছে, তা স্পষ্ট। এই ঘটনার দিন দুয়েক আগেত গত ২৩ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে একটি ভরা বাজারে জোরাল গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় ১ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয় এবং ৬ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। পরে হামলার দায় স্বীকার করে তেহরিক-ই-তালিবান জঙ্গি সংগঠন।