Bangladesh News: ‘একটা উপদেষ্টার স্বার্থসিদ্ধির জন্য…’, কুমিল্লার ধর্ষণের ঘটনায় বিস্ফোরক মির্জা ফখরুল

BNP Alleged Against Adviser: কিন্তু তা মানতে নারাজ খালেদা জিয়ার দল। যা স্পষ্ট মির্জা ফখরুলের বিবৃতিতেও। ইতিমধ্যেই বিএনপি দাবি করেছে, গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত আসলে আওয়ামী লিগের কর্মী। তার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।

Bangladesh News: একটা উপদেষ্টার স্বার্থসিদ্ধির জন্য..., কুমিল্লার ধর্ষণের ঘটনায় বিস্ফোরক মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরImage Credit source: Getty Image

|

Jun 30, 2025 | 3:37 PM

ঢাকা: একজন উপদেষ্টার স্বার্থসিদ্ধির জন্য কুমিল্লার মুরাদনগরে ক্রমাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। কুমিল্লায় হওয়া ধর্ষণের ঘটনায় রবিবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর।

এদিন একটি বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত নির্মম। এমন বর্বরোচিত ঘটনা দেশের মানুষকে মর্মাহত করেছে। তারপরেও কিছু মানুষ ন্যক্কারজনক ভাবে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক স্রোতে বইয়ে দেয়। নিজেরাই সংখ্য়ালঘুদের বাড়ি দখ করে, নির্যাতন করে। তারপর অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়।’

উল্লেখ্য, কুমিল্লার ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মূল অভিযুক্ত বিএনপির কর্মী বলেই পরিচিত। কিন্তু তা মানতে নারাজ খালেদা জিয়ার দল। যা স্পষ্ট মির্জা ফখরুলের বিবৃতিতেও। ইতিমধ্যেই বিএনপি দাবি করেছে, গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত আসলে আওয়ামী লিগের কর্মী। তার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।

সেই বিবৃতি মির্জা ফখরুল আরও জানিয়েছেন, ‘কুমিল্লার ওই মুরাদনগর এলাকার একজন উপদেষ্টা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ক্রমাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছেন। দুষ্কৃতীদের আশকারা দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি, দেশ-বিদেশ থেকে মদত পাচ্ছে তারা। মুরাদনগরের বাসিন্দা উপদেষ্টা হওয়ার পর আওয়ামী লিগের সাংসদদের মতো এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করা শুরু করেছে।’

উল্লেখ্য,  বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে এক হিন্দু মহিলা বাড়িতে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে অভিযুক্তরা। তারপরই গলায় ছুরি রেখে চলে পৈশাচিক অত্যাচার। মহিলাকে ধর্ষণের সময় মূূল অভিযুক্তের সঙ্গে থাকা সাঙ্গপাঙ্গ সেই গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করে পরবর্তী সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এমনকি, ধর্ষণের পরেও থামেনি নির্যাতন। সেই অবস্থাতেই তাকে ঘর টেনেহিঁচড়ে বের করে আনে অভিযুক্তরা। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশে প্রশ্নের মুখে পড়েছে নারী নিরাপত্তা। প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইউনূসের প্রশাসন।