AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hezbollah: শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই, কীভাবে মৃত্যু হিজবুল্লাহ প্রধানের? ঘনাচ্ছে রহস্য

Hezbollah: শরীরে সরাসরি কোনও ক্ষত নেই। তাহলে কীভাবে মৃত্যু হল লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর প্রধান, হাসান নাসরুল্লাহর? তৈরি হয়ছে রহস্য। শনিবার হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে নাসরুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও, বলা হয়নি যে তাকে ঠিক কীভাবে হত্যা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে বিস্ফোরণের ভোঁতা আঘাত থেকেই মৃত্যু হয়েছে নাসরুল্লাহর।

Hezbollah: শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই, কীভাবে মৃত্যু হিজবুল্লাহ প্রধানের? ঘনাচ্ছে রহস্য
উদ্ধার হল নাসরুল্লাহর দেহ, কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই...Image Credit: PTI
| Updated on: Sep 29, 2024 | 10:48 PM
Share

বেইরুট: শরীরে সরাসরি কোনও ক্ষত নেই। তাহলে কীভাবে মৃত্যু হল লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর প্রধান, হাসান নাসরুল্লাহর? তৈরি হয়ছে রহস্য। গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে লেবাননে তীব্র আক্রমণ শুরু করেছিল ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। বেইরুটে বিশেষ বিশেষ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় ইজরায়েলি বিমান বাহিনী। সেই হামলাতেই মৃত্যু হয় হিজবুল্লাহ প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরিল্লাহর। শনিবার, তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। তার একদিন পর, রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেইরুটের দক্ষিণ শহরতলির এক জায়গা থেকে, যেখানে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল, সেখানকার ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকেই উদ্ধার করা হয় নাসরুল্লাহর মৃতদেহ।

এক মেডিকেল সোর্স এবং একটি নিরাপত্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সেই সময় নাসরুল্লাহর শরীর পুরোপুরি অক্ষত ছিল। বোমা বা কোনও গোলাগুলির আঘাতের কোনও চিহ্ন তাঁর শরীরে ছিল না। তাহলে কীভাবে মৃত্যু হল লেবাননের এই যোদ্ধা গোষ্ঠীর প্রধানের? শনিবার হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে নাসরুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও, বলা হয়নি যে তাকে ঠিক কীভাবে হত্যা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে বিস্ফোরণের ভোঁতা আঘাত থেকেই মৃত্যু হয়েছে নাসরুল্লাহর। বিস্ফোরণের আঘাত সাধারণত চার প্রকার হয় – বিস্ফোরণ অতিরিক্ত চাপে সরাসরি শরীরের কলার ক্ষতি হয়, বিস্ফোরণের ধ্বংসাবশেষ উড়ে গিয়ে আঘাত করতে পারে, বিস্ফোরণের অভিঘাতে কেউ উড়ে গিয়ে কোনও বস্তু বা কাঠামোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হতে পারেন। এছাড়া, বিষাক্ত রাসায়নিক শ্বাসযন্ত্রে ঢুকে গিয়েও গুরুতর আঘাত আসে পারে।

জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল ইজরায়েল। একের পর এক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছিল তারা। গত শুক্রবার দক্ষিণ বেইরুটের এক ব্যস্ত রাস্তার ৬০ ফুট নীচে অবস্থিত এক ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে নাসরুল্লাহ এবং অন্যান্য হিজবুল্লাহ নেতারা একটি বৈঠক করছিলেন। সেই সময়ই ওই বাঙ্কারে সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালায় তারা। ৬৪ বছর বয়সী নাসরুল্লাহ ছাড়াও হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর আরেক পদস্থ কর্তা, আলি কারাকিরও শুক্রবারের হামলায় মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বেইরুটের ওই আবাসিক এলাকায় উঁচু উঁচু ভবনগুলির মধ্যে একটি বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। এদিকে, রবিবারও একে অপরকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ। লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার দাবি, এদিন উত্তর-পূর্ব লেবাননের আল আইন গ্রামে ইজরাইলি বিমান হামলায় ১১ জনের মৃত্য়ু হয়েছে।