Bolivia: ছাত্রীদের যৌন শিক্ষা দিতে, ছাত্রদের স্কুলে বীর্য ভরা কন্ডোম আনতে বললেন শিক্ষিকা!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Aug 25, 2022 | 8:54 AM

Bolivia: ছাত্রদের 'হোমওয়ার্ক' দিয়েছিলেন শিক্ষিকা। তবে, তা কোনও সাধারণ 'হোমওয়ার্ক' নয়। ছাত্রদের বলা হয়েছিল কন্ডোমে তাদের নিজেদের বীর্য ভরে স্কুলে নিয়ে আসতে।

Bolivia: ছাত্রীদের যৌন শিক্ষা দিতে, ছাত্রদের স্কুলে বীর্য ভরা কন্ডোম আনতে বললেন শিক্ষিকা!
তিনি কোনও ভুল করেননি বলেই দাবি করেছেন শিক্ষিকা

Follow Us

সুক্রে: ক্লাসের ছাত্রদের ‘হোমওয়ার্ক’ দিয়েছিলেন শিক্ষিকা। তবে, তা কোনও সাধারণ ‘হোমওয়ার্ক’ নয়। ছাত্রদের বলা হয়েছিল কন্ডোমে তাদের নিজেদের বীর্য ভরে স্কুলে নিয়ে আসতে। আর এই হোমওয়ার্ক দিয়েই তীব্র সমালোচনার মুখে মুখে পড়েছেন বলিভিয়ার এক শিক্ষিকা। যৌন শিক্ষার ক্লাসে পুরুষ প্রজনন ব্যবস্থার পাঠ দিতে গিয়েই এই অস্বাভাবিক হোমওয়ার্ক দিয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা। কিন্তু, এই নিয়ে বাবা-মায়েদের তীব্র ক্ষোভের মুখে এখন চাকরি খোয়াতে বসেছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে বলিভিয়ার মিনিরো পৌরসভার হুয়ানা আজুরডুই দে প্যাদিলা স্কুলে। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম মারিয়া ইনেস পেরেডোহো। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি স্কুলে ছাত্রদের কন্ডোমে তাদের বীর্য ভরে আনতে বলেছিলেন। এই অস্বাভাবিক ‘হোমওয়ার্ক’-এর কথা জানতে পেরে চটে লাল হয়ে গিয়েছেন ওই ছাত্রদের বাবা-মায়েরা। কিশোর ছাত্রদের হস্তমৈথুনে প্ররোচনা দিচ্ছেন মারিয়া, এমনটাই তাঁদের অভিযোগ। এক অভিভাবক তো দেশের পাবলিক মিনিস্ট্রিতে ওই শিক্ষিকা বিকৃতমনস্ক দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে “নাবালকদের মাথা বিগড়ে দেওয়ার” অভিযোগ জানিয়েছেন।

তবে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মারিয়া ইনেস পেরেডোহো। তিনি বলেছেন, ছাত্ররা ওই ‘হোমওয়ার্ক’ করতে বাধ্য ছিল না। তিনি দাবি করেছেন পুরো বিষয়টি নিয়ে একটা ‘ভুল বোঝাবুঝি’ তৈরি হয়েছে। এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। স্থানীয় ​​সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “আমিও একজন মা, আমার চারটি ছোট সন্তান রয়েছে। আমি বিকৃতমনস্ক নই।”

তাঁর দাবি, অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ এড়াতে গেলে শুক্রাণুকে এড়িয়ে চলতে হবে, ছাত্রীদের এই পাঠ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। শুক্রাণু একটি আর্দ্র পরিবেশে কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে, তা ব্যাখ্যা করার জন্যই তিনি ছাত্রদের কন্ডোমে বীর্য ভর আনতে বলেছিলেন। মারিয়া পেরেডোহো বলেছেন, “সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে ছাত্রদের বিকৃত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল। বলা হচ্ছে আমি তাদের হস্তমৈথুন করে বয়ামে ভরে নিয়ে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু শিক্ষিকা হিসেবে এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমি মেয়েদের সতর্ক করতে চেয়েছিলাম যে, তারা যদি গর্ভধারণ রোধ করতে চায়, তবে এই পদার্থটি এড়াতে হবে।”

এদিকে এই বিতর্কের জেরে, এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ‘সান্তা ক্রুজ স্পেশাল ফোর্স টু ফাইট ভায়োলেন্সের’ ডিরেক্টর কার্লোস ওপোর্টো বলেছেন, “এই মুহুর্তে আমরা মিনরো হাই স্কুলের ছাত্রদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছি। তারা কী বলে, তার উপরই নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আমরা কোনও ব্যবস্থা নেব কি না।” বলিভিয়ার শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক এডউইন হুয়াইল্লানি বলেছেন, “তদন্ত চলাকালীন সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।”

তবে এরপরও তিনি কোনও ভুল করেননি বলেই দাবি করেছেন ওই শিক্ষিকা। তিনি বলেছেন, “আমি কাউকে হত্যা করিনি, কাউকে ধর্ষণ করিনি। জনগণই বলবে আমাকে যৌন শিক্ষা দেওয়ার জন্য জেলে যেতে হবে কি না। কারণ, কখনও না কখনও তরুণরা বুঝতে পারবে আমি তাদের কী শিক্ষা দিয়েছি। যদি আমি ভুল করে থাকি, তাহলে আমি মিনেরো এবং বলিভিয়ার গোটা সমাজের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”

Next Article