AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

টিকা পেতে মরিয়া ব্রাজিল, কূটনৈতিক ‘চাপ’ বাড়ছে দিল্লিতে?

ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ভ্যাকসিন ক্লিনিকস ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ ডোজ় কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

টিকা পেতে মরিয়া ব্রাজিল, কূটনৈতিক 'চাপ' বাড়ছে দিল্লিতে?
ফাইল চিত্র
| Updated on: Jan 05, 2021 | 1:50 PM
Share

ব্রাসিলিয়া: ভারতে আপদকালীন অনুমোদন পেয়েছে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন। তবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড নির্মাতা সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, আগে ভারত সরকার টিকা পাবে তারপর বিদেশে রফতানি। যার ফলে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে চিন্তায় চুক্তিবদ্ধ বাকি দেশগুলি। এমতাবস্থায় টিকা পাওয়ার নিশ্চয়তা আদায়ে কূটনৈতিক পথে হাঁটছে ব্রাজিল (Brazil)।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন আমেরিকায়। সে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর তারপরেই মৃত্যু ২ লক্ষ ছুঁইছুঁই ব্রাজিলে। তাই ‘করোনা বিধ্বস্ত’ তকমা সরাতে যে কোনও ভাবেই টিকা পেতে চাইছে জইর বলসোনারোর দেশ। সফল টিকাকরণে উদাহরণ হিসাবে এক সময় নামডাক ছিল ব্রাজিলের। কিন্তু করোনার সময় অন্য লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে যে হারে টিকাকরণ হচ্ছে, তার ধারে কাছেও নেই ব্রাজিল। তাই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন পেতে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা করছে ব্রাজিল।

ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ভ্যাকসিন ক্লিনিকস ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ ডোজ় কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু ভারতে এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে কোভ্যাকসিনের। ব্রাজিলে অনুমোদনের জন্য আবেদনও করেনি ভারত বায়োটেক। তবু প্রতিষেধক পেতে মরিয়া ব্রাজিল। সরকারি ক্ষেত্র তো বটেই বেসরকারি ক্ষেত্রেও টিকা পাওয়া নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে বলসোনারোর দেশ।

আরও পড়ুন: করোনার নতুন স্ট্রেনের দাপাদাপি, ব্রিটেনে ফের জাতীয় লকডাউন

ব্রাজিলের অ্যাসোসিয়েশন অব ভ্যাকসিন ক্লিনিকস ইতিমধ্যেই ২০ লক্ষ কোভিশিল্ড আমদানির ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে। অথচ ফাইজ়ারের টিকার সময় উল্টো সুর ছিল প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর গলায়। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেছিলেন, “ফাইজ়ারের (Pfizer) চুক্তিপত্রে সাফ লেখা রয়েছে যে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তারা দায়ী থাকবে না। অর্থাৎ যদি আপনি কুমিরেও পরিণত হন, সেটা আপনারই সমস্যা। আপনি যদি সুপারহিউম্যানে পরিণত হন, যদি মহিলাদের দাঁড়ি গজায় বা পুরুষেরা অদ্ভুত কন্ঠস্বরে কথা বলতে শুরু করেন, তবে তারা দায়ী থাকবেন না।” অর্থাৎ ব্রাজিল মনে করছে ফাইজ়ারের থেকে বেশি সুরক্ষিত অক্সফোর্ডের টিকা। তাই কি ভ্যাকসিন পেতে এত প্রচেষ্টা!