
‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হওয়া কঠিন’ – প্রতিবেদনে ‘গ্লোবাল সাউথ‘-এর কথা বলেছিলাম। এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার সেই সব দেশ, যারা পশ্চিমী দেশের মতো অতটা উন্নত নয়, কিন্তু নানা রাজনৈতিক, সামাজিক ও আর্থিক প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, সেই সব দেশকে এক বন্ধনীতে ‘গ্লোবাল সাউথ’ বলে ডাকা হয়। ‘গ্লোবাল সাউথ’ শব্দবন্ধনীকে সবসময় ভৌগোলিকভাবে দেখলে চলবে না। এর ঠিক উল্টো, অর্থাৎ উন্নত দেশগুলিকে গ্লোবাল নর্থ বলে ডাকা হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে এই গ্লোবাল সাউথ ও নর্থ দেশগুলির নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে যেন জোয়ার এসেছে। ট্রাম্পের চাপানো শুল্কের ফাঁস মুক্ত হতে দু’পক্ষই একে অপরের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারত, চিন, ব্রাজিল, রাশিয়া– ট্রাম্পের চাপানো ‘অন্যায্য’ শুল্কের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মার্কিন দাদাগিরির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই ‘ব্রিকস’ সদস্য দেশগুলি (যার মধ্যে রয়েছে নতুন পাঁচ সদস্য দেশও) একযোগে শক্তিশালী ‘বিকল্প জোট’ তৈরি...