Britain: কোলে দুই সন্তান, বিয়ের ছয় বছর পর দম্পতি জানলেন তাঁরা আসলে ভাই-বোন!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Mar 18, 2023 | 7:10 AM

British couple actually siblings: বিয়ের ছয় বছর পর জীবনে উঠল ঝড়। এখন কী করবেন বুঝতে পারছেন না ব্রিটিশ দম্পতি।

Britain: কোলে দুই সন্তান, বিয়ের ছয় বছর পর দম্পতি জানলেন তাঁরা আসলে ভাই-বোন!
প্রতীকী ছবি

Follow Us

লন্ডন: তাঁদের বিয়ে হয়েছে ছয় বছর। এর মধ্যে কোল আলো করে এসেছে দুই সন্তান। কিন্তু, এরপরই তাঁদের জীবনে উঠেছে ঝড়। কারণ, সম্প্রতি এক ডাক্তারি পরীক্ষায় এই ব্রিটিশ দম্পতি জানতে পেরেছেন তাঁরা আসলে ভাই-বোন। দ্য মিরর পোর্টালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দম্পতি নিজেরাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের এই বিস্ময়কর কাহিনি জানিয়েছেন। যদিও প্রতিবেদনে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। জানা গিয়েছে, একেবারে ছোটবেলায় তারা পরস্পরের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। স্বামীর দাবি, তাঁকে খুব ছোটবেলা দত্তক নেওয়া হয়েছিল এবং তাঁর জৈবিক বাবা-মা কারা, তা তাঁর জানা নেই। বিশ্বজুড়ে অনেক দেশেই ভাই-বোনের বৈবাহিক সম্পর্ক প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু, দুই সন্তান হওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী জানতে পারছেন তাঁরা আসলে ভাই-বোন, এমন ঘটনা সম্ভবত কখনও ঘটেনি। আসুন, পুরো ঘটনাটা জেনে নেওয়া যাক।

দ্য মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জন্মের পরই ওই ব্যক্তি কোনও কারণে তাঁর বাবা-মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। একই শহরের অন্য এক দম্পতি তাঁকে দত্তক নিয়েছিলেন। বড় হওয়ার পর তিনি ওই শহরেরই এক যুবতীয়ের প্রেমে পড়েন। তারপর তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর, এমনকি প্রথম সন্তান হওয়ার পরও তাঁরা জানতেন না যে তাঁরা ভাই-বোন। জানতে পেরেছেন দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর। স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন। তাঁর আত্মীয়দের মধ্যে কারোরই কিডনি দান করার মতো মিল পাওয়া যাচ্ছিল না। এই সময় স্বামীও পরীক্ষা করান। পরীক্ষার ফল আসতেই চিকিৎসকরা হতবাক হয়ে যান। কারণ, তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চিকিৎসকরা ভাই-বোনের মতো মিল পাওয়া গিয়েছিল।

স্বামী বলেছেন, “আমি কিডনি দান করতে পারি কিনা দেখার জন্য পরীক্ষা করিয়েছিলাম। আমি জানতাম এটা অসম্ভব। কারণ আমরা স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু, চিকিৎসকরা আমায় ফোন করে জানান, মিল পাওয়া গিয়েছে। এর পর, ডাক্তাররা তাঁর টিস্যু এইচএলএ (হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন) পরীক্ষাও করেন। সেই পরীক্ষার ফলে দেখা গিয়েছিল, স্বামী-স্ত্রী মধ্যে মিল অত্যন্ত উচ্চ শতাংশের। যা একেবারেই অস্বাভাবিক, এরকমটা সাধারণত ভাই-বোনদের মধ্যে দেখা যায়। ভাই-বোনের মধ্যে ডিএনএ-এর মিল থাকে ১০০ শতাংশের কাছাকাছি। আর বাবা-মা এবং সন্তানদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ মিল থাকে। তাই এই ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী আসলে ভাই-বোন বলেই দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।

স্বামী আরও জানিয়েছেন, তাঁদের সন্তানদের মধ্যে কোনও জেনেটিক ব্যাধি ধরা পড়েনি। তবে, তাঁরা ভাই-বোন জানার পর, তাঁরা কী করবেন এই নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন এই ব্রিটিশ দম্পতি। নেটিজেনদের পরামর্শ চেয়েছিলেন তাঁরা। অধিকাংশের মত, তাঁরা বিবাহিত এবং ইতিমধ্যে তাঁদের বাচ্চাও হয়ে গিয়েছে। কাজেই আর ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। তাছাড়া, সন্তানদের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতাও দেখা যায়নি। তারা দুজনেই সুস্থ। কাজেই তাঁদের উচিত বাচ্চাদের ভাল বাবা-মা হয়েই থাকা। আর ভাই বা স্বামী তাঁর কিডনি দিয়ে সুস্থ করে তুলুন তাঁর বোন বা স্ত্রীকে। কিছু, বদলানোর দরকার নেই। এতদিন ধরে সব কিছু ভালই তো ছিল।

Next Article