কাঠমাণ্ডু: ভারত-নেপাল সীমান্তে (India-Nepal Border) ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident)। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেল বাস। জানা গিয়েছে, ওই বাসটিতে বহু ভারতীয় পর্যটক ছিলেন। তীর্থযাত্রা করতে বেরিয়েছিলেন সকলে, ফেরার পথেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বাসটি। নেপালের (Nepal) ত্রিবেণীর কাছে আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারায় বাসটি, রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে যায় খাদে। দুর্ঘটনায় এখনও অবধি মৃত্যুর কোনও খবর না মিললেও, কমপক্ষে ৬০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত থেকে ৭০ জন পুণ্যার্থীকে নিয়ে নেপালের ত্রিবেণী ধামে গিয়েছিল ওই বাসটি। মূলত উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের পিপরিগঞ্জ ও ক্যাম্পিরগঞ্জের বাসিন্দারাই তীর্থ করতে বাসে চেপে নেপালে গিয়েছিলেন। শনিবার ত্রিবেণী থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বাসটি।
জানা গিয়েছে, ভারত-নেপাল সীমান্তের একদম কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। থুতিবাড়ি আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। সীমান্তে মোতায়েন থাকা পুলিশ কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং উদ্ধারকাজ শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টার পরে ক্রেন দিয়ে বাসটি তোলা হয়। আহত যাত্রীদের নেপালের নাওয়াল পারাসি জেলার পৃথিবী চন্দ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দ্রুতগতিতে আসছিল পুণ্যার্থী বোঝাই বাসটি। সীমান্তের কাছাকাছি যখন বাসটি পৌঁছয়, তখন আচমকাই পাশের লেন থেকে একটি গাড়ি বাসের সামনে চলে আসে। বাসটি ব্রেক মারলেও, নিয়ন্ত্রণ সামলাতে পারেনি। পাশ কাটানোর চেষ্টা করতেই তা খাদে পড়ে যায়। অন্যদিকে, পুলিশের তরফেও প্রাথমিক তদন্তের পর জানানো হয়েছে যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই বাসটি উল্টে গিয়েছিল। বাসের ছাদে মাত্রাতিরিক্ত জিনিসপত্র বোঝাই করে রাখায়, দ্রুতগতিতে পাশ কাটাতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি।
দুর্ঘটনার পরই যোগাযোগ করা হয় উত্তর প্রদেশ সরকারের সঙ্গে। গোরক্ষপুরের মহারাজগঞ্জের জেলাশাসক জানিয়েছেন, নেপালের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফেও কয়েকজন আধিকারিকদের নেপালে পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকাজে সাহায্য ও আহতদের চিকিৎসার পর রাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য।