ওটায়া: ডোনাল্ড ট্রাম্প অদৃশ্য থাপ্পড় কষিয়েছেন কানাডার প্রেসিডেন্ট ট্রুডোকে! এতে আবার ওদেশের অনেক মানুষ বেজায় খুশি। এমনিতেও ট্রুডোর জনপ্রিয়তা হু-হু করে নামছে। এমনকী, তাঁর অনুরাগী কানাডার মহিলারাও নানা কারণে ট্রুডোর উপর ক্ষুব্ধ। কানাডার ইন্টারনাল সার্ভে জানিয়েছে, ট্রুডোর নীতিতে ভারত-কানাডা সম্পর্ক যেভাবে তলানিতে নেমেছে, সেটাও কানাডার মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছেন না।
আর্গাস রিগস ও এশিয়া প্যাসিফিক অপিনিয়ন সার্ভেতে দুটি বিষয় উঠে এসেছে। এক, ট্রুডো ক্ষমতায় থাকলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি সম্ভব নয় বলে মনে করছেন ৩৯ শতাংশ কানাডিয়ান। ৩৪ শতাংশ কানাডিয়ানের ধারণা, ভারতে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরলে তবেই দু-দেশের সম্পর্ক শুধরাতে পারে। দুই, কানাডার ৪৭ শতাংশ মানুষ ট্রুডোর বিদেশনীতিতে ক্ষুব্ধ। তাঁরা বলছেন, ট্রুডো কানাডার প্রচলিত বিদেশনীতির বাইরে গিয়ে ওস্তাদি করছেন ও দেশকে ডোবাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় কথা, ২০২৫ সালে ফের ভোটে জিতে ট্রুডোর ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন ৪৮ শতাংশ মানুষ।
তবে সব দোষ একা ট্রুডোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে ভুল হবে। কানাডার বিরোধী দলনেতাও খালিস্তানপন্থী নন, একথা এখনই মানা যায় না। কানাডায় দীপাবলির অনুষ্ঠানে কথা দিয়েও যাননি কানাডিয়ান কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরো পলিভিয়ার।
কানাডা দেশটাই একটা অদ্ভুত দেশ। পশ্চিমী বিশ্বের অন্তর্গত এই দেশটা বরাবর সন্ত্রাসবাদীদের মদত, আশ্রয় দিয়েছে। আর তার সবচেয়ে বড় খেসারত দিতে হয়েছে ভারতকে।