Muhammad Yunus meets with religious leaders: ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন ইউনূস, বৈঠক করলেন সব ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে
Muhammad Yunus meets with religious leaders: সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। তাঁর মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছেন বাংলাদেশের হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নিয়েও সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। এই পরিস্থিতিতে এদিন জাতীয় ঐক্য নিয়ে মতবিনিময় করতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মহম্মদ ইউনূস।
ঢাকা: উত্তপ্ত বাংলাদেশ। পদ্মাপারের দেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা হামলার শিকার হচ্ছেন। তাঁদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে একাধিকবার বার্তা দিয়েছে ভারত। অবশেষে ঘরে-বাইরে চাপের কাছে নতিস্বীকার করল ইউনূস প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিদের মুখ দিয়ে বাংলাদেশে ঐক্যের ছবি তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টাও করল অন্তর্বর্তী সরকার।
সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। তাঁর মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছেন বাংলাদেশের হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নিয়েও সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। এই পরিস্থিতিতে এদিন জাতীয় ঐক্য নিয়ে মতবিনিময় করতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মহম্মদ ইউনূস। এদিন বিকালে রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এই বৈঠক হয়।
এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এক বিবৃতিতে ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, জাতীয় ঐক্যের আহ্বান নিয়ে ছাত্রনেতা, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন মহম্মদ ইউনূস। এর মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্রনেতাদের সঙ্গে, বুধবার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউনূস। এবং বৃহস্পতিবার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন।
এই খবরটিও পড়ুন
মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আগে দেখা হয়েছে। এখন সবার সঙ্গে দেখা হল, ভাল লাগছে। সরকারের কাছে তারা কী চাইছে, কী আশা করছে, সেগুলো জানতে চাইলাম।” ছাত্র নেতাদের ইউনূস রাষ্ট্রের অভিভাবক উল্লেখ করে বলেন, “তোমাদের কারণেই আজ বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। তোমাদের দায়িত্ব আছে রাষ্ট্র যেন ঠিক পথে চলে, যেন বিচ্যুত না হয়।”
আর এদিন মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ ধর্মের ধর্মীয় নেতারা বৈঠকে যোগ দেন। সেই বৈঠকে ইউনূস বলেন, “আলাদা আলাদা মতামত থাকলেও আমরা একই পরিবারের সদস্য। আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমরা সকলেই বাংলাদেশি।” তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর কোনও হামলা হলে তৎক্ষণাৎ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এবং অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার বলেও বৈঠকে মন্তব্য করেন ইউনূস।