Fang Bin: উহান থেকে বিশ্বকে দিয়েছিলেন কোভিড-বার্তা, তিন বছর পর খোঁজ মিলল সেই ‘নিখোঁজ’ চিনা সাংবাদিকের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

May 04, 2023 | 12:48 AM

Covid whistleblower Fang Bin: কোভিডের খবর করতেই গায়েব। ২০২০-র ফেব্রুয়ারির থেকে খোঁজ ছিল না। ৩ বছর পর তাঁকে মুক্তি দিল চিন সরকার।

Fang Bin: উহান থেকে বিশ্বকে দিয়েছিলেন কোভিড-বার্তা, তিন বছর পর খোঁজ মিলল সেই নিখোঁজ চিনা সাংবাদিকের
ফ্যাং-এর মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল চিনা জনগণ

Follow Us

বেজিং: সেটা ছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। সদ্য চিনের উহান শহর থেকে চিন এবং চিনের বাইরে ছড়িয়ে পড়ছিল কোভিড-১৯ মহামারি। সেই সময় উহানের মহামারি পরিস্থিতি এবং কঠোর লকডাউন নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে করতে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন চিনা সাংবাদিক ফ্যাং বিন। তারপর থেকে গত তিন বছরে মাত্র একবার তাঁর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে তাঁর এক বন্ধুর ইউটিউব পেজে একটি ভিডিয়ো লাইভ-স্ট্রিম করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন তিনি অবসাদের ভুগঠেন। তারপর থেকে আবার গায়েব। অবশেষে, গত রবিবার (৩০ এপ্রিল), তাঁকে মুক্তি দিয়েছে চিন সরকার। এমনটাই জানানো হয়েছে ফ্যাং-এর পরিবারের তরফে। আরও জানা গিয়েছে, মুক্তির পর, প্রথমে বেজিংয়ে গিয়ে তাঁর বেশ কয়েকজন আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করেন এই চিনা সাংবাদিক, সোমবার সকালে তিনি উহানে ফিরে এসেছেন। সূত্রের খবর, এখনও তাঁর গতিবিধি ও কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখছে চিনা কর্তৃপক্ষ।

এক চিনা মানবাধিকার সংস্থার মতে, বেজিং এবং উহান – কোনও শহরই তাঁর দায়িত্ব নিতে চায়নি বলে মুক্তি পেতে বেশ কিছুটা দেরি হয়েছে। আসলে, মহামারির শুরুতে চিন সরকারের পক্ষ থেকে মহামারি সংক্রান্ত খবরাখবরের উপর সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছিল। তারই মধ্যে মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে গোটা বিশ্বকে সতর্ক করে যাচ্ছিলেন ফ্যাং-এর মতো বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, চিকিৎসক ও চিনা নাগরিক। কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ে মুখ খোলার জন্য তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিয়েছিল চিনা কর্তৃপক্ষ। সেই সময়ই একদিন, উহান থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ফ্যাং এবং তাঁর বন্ধু তথা আরেক চিনা সাংবাদিক চেন কুইশি। ২০২১-এ ওই ইউটিউব পেজে মুখ দেখালেও, ফ্যাং তাঁর অনুপস্থিতির বিষয়ে কোনও তথ্য জানাননি।

ফ্যাং-এর অবস্থান সম্পর্কে একের পর এক বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এর ফলে ফ্যাং-এর অবস্থান আরও অস্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তিনি পুলিশি হেফাজতে আছেন, নাকি বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে, নাকি তাঁকে কোনও গোপন স্থানে বন্দি করে রাখা হয়েছে, কিছুই জানা যায়নি। বস্তুত, সরকার বিরোধী মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না এনেও তাঁদের ছয় মাস পর্যন্ত আটকে রাখার অধিকার আছে চিনা পুলিশের। ফ্যাং-এর পরিবারও তাঁর অন্তর্ধান নিয়ে কথা বলতে ভয় পেতেন। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সমস্যা সৃষ্টি করার’ দায়ে ফ্যাং-কে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। চিনে রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রায়শই প্রয়োগ করা হয়। রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উহানের জিয়াংজিয়ায় জেলার এক কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছিল তাঁকে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে একই অভিযোগে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল উহানের আরেক সাংবাদিক ঝাং ঝান-কে।

Next Article