Sperm donate: শুক্রাণু দান করলেই মিলবে হাজার-হাজার টাকা, অভিনব উদ্যোগ হিউম্যান স্পার্ম ব্যাঙ্কের
Human sperm bank: নির্ঝঞ্ঝাট জীবনযাপনের নেশা, কাজের চাপ এবং অত্যাধিক সচেতনতার ফলে চিনে জন্মহার একেবারে নিম্নগামী। এছাড়া অনেকে সন্তান নিতে চাইলেও পরিবেশ দূষণ বা অন্যান্য কারণে শুক্রাণুর মান খারাপ হওয়ায় সন্তান আসছে না।স্পার্ম ব্যাঙ্কেও শুক্রাণুর ভাঁড়ার প্রায় শেষ। তাই এবার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বেজিং: চিনে (China) জন্মহার অনেকটাই কমে গিয়েছে। জন্মহার বাড়াতে ইতিমধ্যে একাধিক লোভনীয় ঘোষণা করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। এবার এব্যাপারে উদ্যোগী হল চিনের হিউম্যান স্পার্ম ব্যাঙ্ক (Human sperm bank)। সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অর্থের বিনিময়ে স্পার্ম অর্থাৎ শুক্রাণু দান করার আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি ভাল মানের শুক্রাণু (Sperm) খুঁজে বের করতে এক অভিনব প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেছে হেনান প্রদেশের হিউম্যান স্পার্ম ব্যাঙ্ক। শুক্রাণুর বিনিময়ে প্রতিযোগীদের দেওয়া হবে হাজার-হাজার টাকা।
চিনা সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জন্মহার বাড়ানোই হিউম্যান স্পার্ম ব্যাঙ্কের লক্ষ্য। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে ঝেংঝুতে এক অভিনব প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে হিউম্যান স্পার্ম ব্যাঙ্ক। গত ১০ সেপ্টেম্বর এই প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ৫০ দিন ধরে চলা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা ২০ বার শুক্রাণু দান করতে পারবেন। আর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তাঁদের প্রতি বারের জন্য ৬,১০০ ইউয়ান (৬৯,৩৭৭ টাকা) পর্যন্ত দেওয়া হবে। এছাড়া প্রতিযোগিতায় আসার জন্য তাঁদের যাতায়াতের ভাড়াও দেওয়া হবে। তবে শুক্রাণু দানের ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত রয়েছে।
হিউম্যান স্পার্ম ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ২০ বছর থেকে ৪৫ বছর বয়সি কমপক্ষে ১.৬৫ মিটার দীর্ঘ ব্যক্তিরা শুক্রাণু দানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে ধূমপায়ী, মদ্যপায়ী, নিয়মিত মাদক সেবক অথবা সমকামী হলে চলবে না। এছাড়া সংক্রামক বা জিনগত কোনও রোগের ইতিহাস থাকলে চলবে না।
প্রতিযোগিতা শেষে শুক্রাণুদাতাদের প্রফেশনাল ফার্টিলিটি মূল্যায়নের শংসাপত্রও দওয়া হবে। সেরা শুক্রাণুদাতা ২ জনকে বিজয়ী হিসাবে নির্বাচন করা হবে। মূলত, শুক্রাণুর ঘনত্ব, আয়তন, গঠন এবং গতিশীলতার উপর নির্ভর করে মূল্যায়ন করা হবে।
এই অভিনব প্রতিযোগিতা সম্পর্কে হিউম্যান স্পার্ম ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়, রক্তদানের মতো শুক্রাণু দানও মানবিক কাজ। শুক্রাণু দানের ফলে বন্ধ্যা দম্পতিরা সুখবর পেতে পারেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের শুক্রাণু দানের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
নির্ঝঞ্ঝাট জীবনযাপনের নেশা, কাজের চাপ এবং অত্যাধিক সচেতনতার ফলে চিনে জন্মহার একেবারে নিম্নগামী। এছাড়া অনেকে সন্তান নিতে চাইলেও পরিবেশ দূষণ বা অন্যান্য কারণে শুক্রাণুর মান খারাপ হওয়ায় সন্তান আসছে না। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ্যা দম্পতিদের মুখে হাসি ফোটাতে তৈরি হয়েছিল হিউম্যান স্পার্ম ব্যাঙ্ক। বর্তমানে সেই সমস্ত ব্যাঙ্কেও শুক্রাণুর ভাঁড়ার প্রায় শেষ। তাই এবার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
