US warplane: ঢুকতে পারে মাটি ফুঁড়ে, ঘণ্টায় খরচ ১ কোটি ২৫ লাখ! কতটা বিধ্বংসী ইরানে হামলা চালানো এই মার্কিন যুদ্ধ বিমান?

US warplane: মাঠে নেমেছিল মার্কিন নৌবাহিনীর পারমাণবিক সাবমেরিনও। তা থেকেই ছোড়া হয় ৩০টি BGM-109 Tomahawk ক্রুজ মিসাইল। অভিযানের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ‘ফোরদো’ নিউক্লিয়ার সাইট। যা মূলত একটি পাহাড়ের নিচে প্রায় ৯০ মিটার গভীরে অবস্থিত।

US warplane: ঢুকতে পারে মাটি ফুঁড়ে, ঘণ্টায় খরচ ১ কোটি ২৫ লাখ! কতটা বিধ্বংসী ইরানে হামলা চালানো এই মার্কিন যুদ্ধ বিমান?
STORYBLOCKS

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 24, 2025 | 1:26 PM

তেহরান: এবার ইরানের আলোচনার রাস্তায় আসা ছাড়া আর উপায় নেই বলেই ভাবছে আমেরিকা। ট্রাম্প বলছেন, এবার যদি ইরানের তরফে যদি আমেরিকায় কোনো রকম আঘাত পরিকল্পনা করা হয় তাহলে তার জবাব এদিনের হামলার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী জবাব মার্কিন সেনা দেবে। গতকাল রাত ২টো নাগাদ মার্কিন হানায় কেঁপে ওঠে ইরান। ফোরদোতে ৬টি বাঙ্কার বাস্টার বোমা ফেলেছে আমেরিকা। নাতাঞ্জ এবং ইস্ফাহানে আঘাত করা হয়েছে ৩০টি টমাহক মিসাইল ৩০টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে সাবমেরিন থেকে। অর্থাৎ, হুঁশিয়ারির পর এবার সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল আমেরিকা। তবে কী ফের বিশ্বযুদ্ধ? ভাবাচ্ছে গোটা বিশ্বকে। 

ওয়াকিবহাল মহল বলছে, চূড়ান্ত গোপনীয়তার সঙ্গেই পুরো পরিকল্পনা করেছিল আমেরিকা। তারপরই ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান নিউক্লিয়ার সাইটে হামলা চালায় মার্কিন বায়ু সেনা। আর এখানেই বড় ভূমিকা রাখে ৬টি B-2 Spirit Stealth Bomber। সূত্রের খবর, এই বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান গুলি থেকেই ফেলা হয় ৬টি GBU-57 ‘Massive Ordnance Penetrator’ (bunker buster) বোমা। একটি মাত্র B-2 স্টিলথ বোম্বার বানাতে লাগে প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ১৮,০০০ কোটি টাকারও বেশি। তথ্য বলছে, B-2 উড়লে প্রতি ঘণ্টায় খরচ হয় ১,৫০,০০০ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার বেশি। 

মাঠে নেমেছিল মার্কিন নৌবাহিনীর পারমাণবিক সাবমেরিনও। তা থেকেই ছোড়া হয় ৩০টি BGM-109 Tomahawk ক্রুজ মিসাইল। অভিযানের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ‘ফোরদো’ নিউক্লিয়ার সাইট। যা মূলত একটি পাহাড়ের নিচে প্রায় ৯০ মিটার গভীরে অবস্থিত। এদিকে এই নিউক্লিয়ার সাইট আবার বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত পরমাণু কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এটির গঠন এমনভাবে পরিকল্পিত যে এটি সরাসরি বোমার আঘাত সহ্য করতে সক্ষম। সূত্রের খবর, B-2 বোম্বারগুলো এই টার্গেটের ওপর নিখুঁতভাবে ফেলে ১২টি GBU-57 বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা। যা ভূপৃষ্ঠ ভেদ করে গভীরে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম। একই সময়, আমেরিকার একটি সাবমেরিন থেকে নাতানজ ও ইসফাহানে ৩০টি Tomahawk ল্যান্ড-অ্যাটাক মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়। B-2 বোম্বার দুটি GBU-57 ফেলে নাতানজের উপরেও, যেখানে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প পরিচালিত হতো বলে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

ইরান এখন যদিও দাবি করছে তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি। তাঁদের দাবি, ফোরদো-র মাত্র ২ টানেলে হামলা হয়েছে। অ্যাটাক হয়েছে শুধুমাত্র এন্ট্রি ও এক্সিট টানলেই দাবি করেছে ইরান। যদিও আমেরিকার দাবি সবই তছনছ হয়ে গিয়েছে। যদিও আ বলছে, ইরানের পরমাণু কেন্দ্র থেকে এখনও কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ দেখা যায়নি। বলছে, সৌদি আরবের নিউক্লিয়ার এজেন্সি। একই দাবি তেহরানেরও।