Countries Without Armed Forces: নেই সেনাবাহিনী, প্রতিরক্ষায় খরচ হয় না এক পয়সাও, যে ভাবে এই ৫ দেশ চলে!

Countries Have No Military: কিন্তু এমন কিছু দেশ রয়েছে, যে সব দেশে নেই কোনও সেনাবাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী। কিন্তু এই দেশগুলোই হয়তো প্রতিরক্ষা দফতর না রাখার মতো সাহিসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে, কোস্টারিকা, তেমনই রয়েছে আইসল্যান্ডের মতো দেশও।

Countries Without Armed Forces: নেই সেনাবাহিনী, প্রতিরক্ষায় খরচ হয় না এক পয়সাও, যে ভাবে এই ৫ দেশ চলে!
এই সব দেশে নেই কোনও সেনাবাহিনীImage Credit source: Getty Images

Oct 21, 2025 | 4:46 PM

ডিফেন্স বাজেট সময়ে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হু হু করে। গোটা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের ডিফেন্স বাজেটই বেড়েছে এমন দ্রুত। যুদ্ধের প্রস্তুতি, একাধিক সামরিক প্রযুক্তি তৈরি ও কেনার উৎসাহে অন্ত নেই কোনও দেশেরই। সকলেই চায় অন্যকে টেক্কা দিতে। যেমন আমেরিকার চলতি বছরের প্রতিরক্ষা বাজেট ৯১৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার বা ৮৪ লক্ষ ৫৯ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে, চলতি বছরে আমাদের দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট ৬ লক্ষ ৮১ হাজার কোটি টাকা।

কিন্তু এমন কিছু দেশ রয়েছে, যে সব দেশে নেই কোনও সেনাবাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী। কিন্তু এই দেশগুলোই হয়তো প্রতিরক্ষা দফতর না রাখার মতো সাহিসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে, কোস্টারিকা, তেমনই রয়েছে আইসল্যান্ডের মতো দেশও।

দক্ষিণ আমেরিকার রাষ্ট্র কোস্টারিকা ১৯৪৯ সাল থেকেই প্রতিরক্ষা বাহিনী না রাখার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দেশের উত্তরে রয়েছে নিকারাগুয়া আর দক্ষিণে রয়েছে পানামা। দেশটি প্রতিরক্ষা খাতের অর্থ বিনিয়োগ করে জনগণের স্বার্থে। কোস্টারিকা আজ দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে সুখী ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র।

আইসল্যান্ডের মতো দেশেও নেই কোনও সেনাবাহিনী। এই দেশটি নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ন্যাটোর উপর নির্ভর করে। ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার কারণে এই দেশে রয়েছে একটি শক্তিশালী উপকূল রক্ষী বাহিনী। ইউরোপীয় দেশ লিচটেনস্টেইনেরও কোনও সামরিক বাহিনী নেই। ১৮৬৮ সালে থেকেই তারা সামরিক বাহিনীকে লুপ্ত করে দেয়। যদিও দেশটিতে রয়েছে এক পুলিশবাহিনী। এ ছাড়া তাদের সামরিক সুরক্ষা দেয় সুইজারল্যান্ড।

বহু বছরের সমস্যার পর ১৯৯০ সালে পানামাও তাদের সামরিক বাহিনী তুলে দেয়। এই দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব ন্যাস্ত রয়েছে আমেরিকার উপর। এ ছাড়াও পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র ভ্যাটিক্যান সিটির নিজস্ব কোনও সেনাবাহিনী নেই। যদিও পোপের সুরক্ষার জন্য রয়েছে বিশেষ দল। যাদের বলা হয় সুইস গার্ড। যদিও এই দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে ইটালির হাতে।