ইসলামাবাদ: বিষ দেওয়া হয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে? এমনটাই দাবি করা হয়েছে একাধিক পাকিস্তানি সংবাদপত্রে। সূত্রের খবর, ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মূল চক্রীকে করাচির এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, বিষ প্রয়োগের খবর নিশ্চিত করা যায়নি। তবে, গুরুতর স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছেন দাউদ। সূত্রের খবর, দুই দিন আগেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে তাকে। হাসপাতালের যে তলে তাঁকে রাখা হয়েছে, সেখানে দাউদ ছাড়া আর কোনও রোগী নেই বলে জানা গিয়েছে। ওই তলে, শুধুমাত্র হাসপাতালের শীর্ষস্থানীয় কর্তা এবং পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। বাকি কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
পাকিস্তান সরকারিভাবে কখনও স্বীকার না করলেও, ভারত সরকারের ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় নাম থাকা দাউদ দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে থাকে। পাক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাদের ছেলে জুনেইদ মিয়াদাদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে দাউদের মেয়ে মাহরখ ইব্রাহিমের। কয়েক দশক ধরেই পলাতক দাউদ। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সচেতনভাবে তার অবস্থান গোপন রেখেছে। তবে, এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন করাচিতেই থাকেন, তা সকলেই জানে। করাচি থেকেই এখন সে চালায় ডি কোম্পানি। করাচি থেকেই চলে তার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
ঠিক কোন পরিস্থিতিতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে, তা নিয়েও চরম গোপনীয়তা রয়েছে। পাকিস্তান বা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ, কেউই এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এই খবরটি নিশ্চিত করেনি। জল্পনা রয়েছে, বিষ প্রয়োগের ফলেই আকস্মিকভাবে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। তবে, কে বা কারা তাকে বিষ দিল, তা নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। অদ্ভুত বিষয় হল, গত কয়েক মাসে পাকিস্তান ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, ভারত সরকারের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা জঙ্গি নেতা ও গ্যাংস্টারদের একের পর এক রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলির নেতারা যেমন আছে, তেমনই রয়েছে খালিস্তানি জঙ্গিরাও। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ডি কোম্পানির প্রধানের নামও।
তবে, দাউদের স্বাস্থ্যের অবস্থা এমনিতেও খুব একটা ভাল নয়। বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী একসময়ের মুম্বইয়ের ত্রাস, দাউদ ইব্রাহিমের এখন হাঁটার জন্য লাঠি লাগে। কারণ, কয়েক বছর আগে, তার পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়ে গিয়েছিল। করাচির এক হাসপাতালে চিকিৎসার সময় তার পায়ের দুটি আঙুল কেটে ফেলতে হয়েছিল। তবে, বছর দুই আগে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী, ছোটা শাকিল এই কথা অস্বীকার করেছিল।