করাচি: বিপুল সম্পত্তির অধিকারী আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। বর্তমানে তিনি করাচি হাসপাতালে ভর্তি। দাউদেরই ঘনিষ্ঠ কেউ তাঁকে বিষ খাইয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও বিষ প্রয়োগের খবরটি নিশ্চিত করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দাউদের যদি মৃত্যু হয় তাহলে তাঁর বিপুল সম্পত্তি, ডি কোম্পানির মালিকানা কার হাতে যাবে?
দাউদের বিপুল সম্পত্তির উত্তরসূরী জানতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের খোঁজ উঠে আসছে। কয়েক মাস আগে দাউদের পরিবার সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন তাঁর বোন হাসিনা পারকারের ছেলে আলিশা পারকার। তিনি এনআইএ-কে জানিয়েছেন, দাউদের দুই স্ত্রী ছিলেন এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হলেন পাকিস্তানি পাঠান মহিলা। সেই সূত্রে দাউদের উত্তরসূরী নেহাত কম নয়।
দাউদের পরিবারের কারা রয়েছেন?
দাউদ ইব্রাহিমের জন্মবৃত্তান্ত দেখলে জানা যায়, তিনি মহারাষ্ট্রের রত্নগিরিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দাউদের বাবা ইব্রাহিম কাসকার মুম্বই পুলিশের হেড কনস্টেবল ছিলেন এবং মা আমিনা বি ছিলেন গৃহবধূ। এছাড়া তাঁরা ৭ ভাই এবং ৪ বোন। যার মধ্যে ৩ ভাই, আনিস ইব্রাহিম, মুস্তাকিম আলি, জাইতুন আন্তুলি দুবাই ও করাচিতে বসবাস করেন। দাউদের চার বোনের মধ্যে দু-বোন, ফারজানা তুনগেকার ও হাসিনার মৃত্যু হয়েছে।
দাউদের বৈবাহিক জীবন
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম প্রথম বিয়ে করেন মেহজবিন ওরফে জুবিনা জারিনকে। দাউদ ও মেহজবিনের ২ মেয়ে ও ১ ছেলে-সহ ৩ সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে মাহরুখ ২০০৬ সালে বিয়ে করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাঁদের ছেলে জুনাইদকে। মেজ মেয়ে মেহরিন ২০১০ সালে বিয়ে করেন আমেরিকার ব্যবসায়ীর ছেলে আয়ূবকে। আর ছোট মেয়ে মারিয়া পাকিস্তানেই ম্যালেরিয়া সংক্রমণে ণারা যান। দাউদের একমাত্র ছেলে মঈন নওয়াজ ব্রিটনে পড়াশোনা করেন। মঈনই দুবাই ও করাচিতে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করেন। তিনি ২০১১ সালে মার্কিন মহিলা সানিয়া শেখকে বিয়ে করেছেন।
অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত ব্যবসা তত্ত্বাবধানের পরিপ্রেক্ষিতে ডি কোম্পানি-সহ দাউদের বিপুল সম্পত্তির প্রথম উত্তরসূরী হতে পারেন মঈন নওয়াজ। তবে মেয়ে-জামাই এবং ভাই-বোনেদের মধ্য়েও সম্পত্তির ভাগাভাগি করার বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা যায় না।